ঢাকা: এই শতাব্দীতে নতুন এক কানাডাকে দেখলো বিশ্ব। ২০১৫ সালের ৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ক্ষমতায় আসার পর কানাডা আরো বেশি মানবিক ও বন্ধুত্বসুলভ ধারণার জন্ম দিলো।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইমিগ্রেশন আইন বিশেষজ্ঞ ও সাউথ এশিয়ান ল’ ইয়ার্সফোরামের সভাপতি ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ (রাজু) এই বিষয়ে বলেন, আমেরিকার চেয়েও পৃথিবীতে এখন শান্তি সমৃদ্ধির দেশ কানাডা। মানবাধিকার বিষয়ে দেশটির সরকার বেশ স্পর্শকাতর। সেখানে নেই জাতিগত বৈষম্য।
তিনি বলেন, পিএনপি এবং এক্সপ্রেস এন্ট্রিতে ২০১৬ সালে ৩ লাখ ৫ হাজার পেশাজীবী ইমিগ্রেশন লাভের নিশ্চিত সুযোগ পাচ্ছে। দেশটির ১১ টি প্রদেশে ১১ ধরনের ক্যাটাগরিতে এই মাইগ্রেশনের সুযোগ দিচ্ছে কানাডিয়ান সরকার। এর মধ্যে রয়েছে হাই স্কিলড, ট্রেড স্কিলড, ফ্যামিলি স্পন্সরশিপ, বিজনেস এক্সপ্রেস এন্ট্রি, পিএনপি, এফএসডাব্লিউ, সেলফ এমপ্লয়েডসহ সকল ক্যাটাগরিতে কানাডায় ইমিগ্রেশনের সুযোগ।
শুধু কুইবেক প্রদেশেই ১০ হাজার পেশাজীবী কানাডায় ইমিগ্রেশন করার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে এক্ষেত্রে ট্রেড স্কিলড এসেসমেন্ট সার্টিফিকেট ও প্রাদেশিক নমিনেশন ব্যতীত কোন আবেদন জমা দেয়া হয় না।
আবেদনের যোগ্যতা
বেশ সহজেই আবেদন করা যাচ্ছে কানাডায়। মূলত ৪ টি যোগ্যতা বিবেচনা করা হয়। আইইএলটিএস পরীক্ষায় নূণ্যতম ৪.৫ (সাড়ে চার) পয়েন্ট। শিক্ষাজীবনে যে কোনো বিষয়ে কমপক্ষে ডিপ্লোমা অথবা গ্র্যাজুয়েশন থাকতে হবে। যে কোন কর্মক্ষেত্রে কমপক্ষে ২ বছরের অভিজ্ঞতা। বয়স ২১ থেকে ৫৩ বছরের মধ্যে থাকতে হবে।
ড. শেখ সালাউদ্দিন বলেন, এটিই কানাডার সর্বশেষ ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ পদ্ধতির ইমিগ্রেশন প্রোগ্রাম।
তাছাড়াও বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রোগ্রামে আবেদন করে সহজেই এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোফাইলে অতিরিক্ত ৬০০ পয়েন্ট যোগ করে দ্রুত কানাডায় ইমিগ্রেশন করার সুযোগ রয়েছে।
এছাড়াও ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে মানিতোবা প্রদেশ এক্সপ্লোরাটোরি ট্রিপ বা রিক্রুটমেন্ট মিশন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়াও ওন্তারিও প্রদেশের নমিনি প্রোগ্রামও চালু রয়েছে।
অত্যন্ত জনপ্রিয় মানিতোবা প্রাদেশিক নমিনি প্রোগ্রামের আওতায় এক্সপ্রেস এন্ট্রি বা ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার প্রোগ্রাম অথবা প্রাদেশিক নমিনির মাধ্যমে সহজেই নেয়া যেতে পারে কানাডায় নাগরিকত্ব।
ড. শেখ সালাউদ্দিন বলেন, এই সবগুলো প্রোগ্রামের মধ্যে বাংলাদেশিদের জন্যে কুইবেক ইমিগ্রেশন ইনভেস্টর প্রোগ্রাম বেশ সুবিধাজনক। কানাডায় ইনভেস্টর প্রোগ্রামের আওতায় কুইবেক প্রদেশে অতি দ্রুত বিজনেস ও ইনভেস্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে পরিবারসহ স্থায়ীভাবে বসবাস এবং নাগরিকত্ব লাভের নিশ্চিত সুযোগ রয়েছে।
এই সুযোগটি গ্রহণ করতে হলে ১৬ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সম্পদ এবং কমপক্ষে ৮ লাখ কানাডিয়ান ডলার ৫ বছরের জন্যে বিনিয়োগ করার সামর্থ থাকতে হবে। বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও আইইএলটিএস’এর শর্ত এক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।
এছাড়াও রয়েছে আকর্ষণীয় সেলফ এমপ্লয়েড পারসন প্রোগ্রাম। কুইবেক সেলফ এমপ্লয়েড পারসন প্রোগ্রাম ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে কমপক্ষে ১ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সম্পদ থাকতে হবে।
কুইবেক এন্টারপ্রেনার প্রোগ্রাম ক্যাটাগরিতে রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। এই ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে কমপক্ষে ৩ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সম্পদ থাকতে হবে। এছাড়াও আবেদনকারীর যে কোন ব্যবসায় কমপক্ষে এক বছরের ম্যনেজেরিয়াল অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
এছাড়াও কানাডার ইমিগ্রেশন পদ্ধতিকে সহজতর করতে চালু করা হয়েছে এক্সপ্রেস এন্ট্রি।
তিনি বলেন, কুইবেক প্রদেশের মন্ত্রী ক্যথলিন উইল জানিয়েছেন- প্রদেশটিতে ২০২২ সালের মধ্যে ১৪ লাখ দক্ষ লোকের চাহিদা রয়েছে। সরকারি হিসাবমতে, এদের মধ্যে ১৮ শতাংশ সরাসরি পরিবারসহ অভিবাসী হবার সুযোগ পাবেন।
এই প্রদেশে দক্ষ বিদেশি ইমিগ্র্যান্টদের জন্য সহজতম নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে। যাতে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ৮০ শতাংশ কম সময় লাগবে এবং উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের অভিবাসী হয়ে সরাসরি চাকরিতে যোগদানের সুযোগ রয়েছে।
নতুন সরকারি নিয়ম ও চাহিদা অনুযায়ী আগামী ৫ বছরের মধ্যে কুইবেক সরকারকে এই দক্ষ কর্মীর চাহিদা পূরণ করতে হবে এবং এ বিষয়ে শুধু সরকারি বাজেটই ধরা হয়েছে ৪২ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার।
কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্যে এবং এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যসেবা সর্ম্পকে জানতে www.wwbmc.com ঠিকানায় ভিজিট করুন। আরো তথ্যের জন্য ই-মেইল করতে পারেন advahmed@outlook.com এবং raju.advocate2014@gmail.com এ।
এছাড়া ফেসবুকে Sheikh Salahuddin Ahmed Raju অথবা WorldwideMigrationConsultantsltd, স্কাইপিতে Advocate Raju Ahmed Phd তে যোগাযোগ করে বিশেষজ্ঞ মতামত জানা যাবে।
এছাড়া 01966041555, 01966041888, 01977014778-এ ফোন করে প্রয়োজনীয় সেবা পাওয়া যাবে।
কানাডায় ইমিগ্রেশনের তথ্যাবলী সেদেশের সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়েও জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৬
জেডএম/