ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘৩ লাখ করদাতা বাড়াতেই হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৬
‘৩ লাখ করদাতা বাড়াতেই হবে’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আগামী অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তিন লাখ করদাতা বাড়াতেই হবে। করদাতা বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করে এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)  নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।


 
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে এনবিআর সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
 
২০১৬-১৭ অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কৌশল নির্ধারণ বিষয়ে আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট কমিশনারদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
 
আয়করের ওপর জোর দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ১২ লাখ নিয়মিত করদাতা রয়েছেন। আগামী অর্থবছরে যেকোনো ভাবেই তিন লাখ করদাতা বাড়িয়ে ১৫ লাখ করতে হবে।
 
এভাবে প্রতি বছর ৩ লাখ করে বাড়াতে হবে। যারা কর আওতার বাইরে, তাদের করনেটের মধ্যে আনতে কৌশল নির্ধারণে এনবিআরকে নির্দেশ দেন মুহিত।
 
তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার বড় একটি অংশ আসবে আয়কর থেকে। আমি চাই, সক্ষম সবাইকে আয়করের আওতায় আনা।
 
আগামী অর্থবছরের জন্য রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা চ্যালেঞ্জিং হলেও তা আহরণে এনবিআর সক্ষম বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
 
‘রেভিনিউ টার্গেট চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু এনবিআরকে তা অর্জন করতেই হবে। কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে আয়করের ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে’।
 
মুহিত বলেন, ‘আমি জেনে শুনেই এত বড় টার্গেট দিয়েছি। যাতে কর্মকর্তারা একটু পরিশ্রম করে তা অর্জন করতে পারেন’।
 
তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রশিক্ষণ, করদাতা ও কর্মকর্তাদের মধ্যে ইনফরমাল আলোচনা, মিসডিক্লারেশন রোধ, এডিআরের কার্যক্রম বাড়াতে হবে।
 
এডিআরের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, এডিআরের মাধ্যমে বকেয়া রাজস্ব আদায় বেড়েছে। এর গতি বাড়াতে হবে, যেন রাজস্ব আদায় অনেক বেশি দৃশ্যমান হয়।
 
কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ইনফরমাল আলোচনা করতে হবে, যাতে রাজস্ব আহরণে তারা অনেক বেশি সহায়তা করেন।
 
অর্থমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সব কিছু করবে এনবিআর।
 
এনবিআর এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম। ‘সব পথ খোলা আছে, তবে ব্যর্থতার দায় এনবিআর নেবে না’- কমিশনারদের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন চেয়ারম্যান।
 
সভায় আগামী অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কৌশলপত্র তুলে ধরা হয় অর্থমন্ত্রীর সামনে। পরে বিভিন্ন বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
 
সভায় এনবিআরের সদস্য, শুল্ক, আয়কর ও ভ্যাটের কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৬
আরইউ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।