ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রফতানি টার্গেট ৩৭ হাজার মিলিয়ন ডলার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৬
রফতানি টার্গেট ৩৭ হাজার মিলিয়ন ডলার

ঢাকা: আট শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৭ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এরমধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকে ৩০ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সচিবালয়ে  বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও অনুমোদন সংক্রান্ত সভায় এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
 
আগামীতে এ টার্গেট অতিক্রম করা সম্ভব হবে এমন আশা প্রকাশ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাকখাতে যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন সেটা আমরা দেব।
 
২০১৫-১৬ অর্থবছরে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিণ করেছিলাম ৩৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্জিত হয়েছে ৩৪ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।
 
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ৯৩ দিন হরতাল অবরোধোর নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট। যার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের ব্যবসায়ী সমাজ।  
 
অপরদিকে রানা প্লাজা ধসের পরে যে ধাক্কা, তা তৈরি পোশাক খাত সামলিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে লক্ষ্যমাত্রার থেকেও সাতশ’ মিলিয়ন ডলারের বেশি রফতানি হয়েছে।

রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশ তৈরি পোশাকের দাম বৃদ্ধি করেনি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অন্য দেশের মত দাম বৃদ্ধি পেলে ৪০ বিলিয়ন ডলার রফতানি করতে পারতাম। যুক্তরাষ্ট্র থেকে জিএসপি সুবিধাও না পেলেও আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। যেটা ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ছিল ৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণ হয়েছে।  
 
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একটা দেশে স্থিতিশীলতা থাকলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়। ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী, ২০২১ সালে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।  
 
বাণিজ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, আমরা খুবই আশাবাদী, আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাবই।  
 
ইউরোপীয় ইউনয়নভুক্ত দেশে গত অর্থবছরে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়, যারা এর পেছনে তাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে অকার্যকর বা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। যেটা খালেদা জিয়া বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্র। অর্থাৎ পাকিস্তান ব্যর্থ রাষ্ট্র, আমাদেরও ব্যর্থ রাষ্ট্রে করার একটা পরিকল্পনা। এটা কেউ কোনো দিন হতে দেবে না। বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্র পরিণত হওয়ার জন্য জন্মগ্রহণ করেনি। শূন্য থেকে যাত্রা শুরু করে আজকের অবস্থানে এসেছি।  
 
গুলশান বা শোলাকিয়ায় যে সন্ত্রাসী হামলা তা বাংলাদেশের সমস্যা নয় উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এটা বৈশ্বিক সমস্যা। যুক্তরাষ্ট্রে হামলায় ৫ পুলিশ নিহত হয়েছে। ফ্রান্স, বেলজিয়াম, কোরিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হামলা হয়েছে। এটা বৈশ্বিক। আমরা বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ, ঐক্যবদ্ধ জাতিকে কেউ দমাতে পারবে না।
 
বাজার বহুমুখীকরণ বা পণ্যের বহুমুখীকরণের চামড়া ও ফার্নিচারে ১৫ শতাংশ করে, প্লাস্টিকে ১০ শতাংশ, কৃষিপণ্যে ২০ শতাংশ, জাহাজ শিল্পে ক্যাশ ইনসেনটিভ দিয়েছি। বাজার বহুমুখীকরণের উদ্যোগ বাস্তবে পরিণত হয়েছে।  
 
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বিকেএমইএ সভাপতি সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, বিজিএমইএ নেতা সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং অধীনন্ত দফতর-সংস্থার কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৬
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।