ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘টিআর ও কাবিখার ৮০ শতাংশই চুরি হয়ে যায়’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৬
‘টিআর ও কাবিখার ৮০ শতাংশই চুরি হয়ে যায়’ ছবি: শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: টেস্ট রিলিফ (টিআর) এবং কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির ৮০ শতাংশই  চুরি হয়ে যায় বলে মন্তব্য করে টেকসই উন্নয়ন করতে এ চুরি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

রোববার (২৪ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ‘বাংলাদেশ সামিট: টেকসই উন্নয়ন সম্মেলন- ২০১৬’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।

পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সম্মেলন কক্ষে দু’দিনব্যাপী সম্মেলটি সোমবার (২৫ জুলাই) পর্যন্ত চলবে।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, টিআর এবং কাবিখা কর্মসূচিতে কোটি কোটি টাকা চুরি হচ্ছে। বরাদ্দের কিছুই সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে না। এমপি, আমলা ও ইউপি চেয়ারম্যানরা এ খাতে চুরির চক্র তৈরি করেছেন। এটাকে দূর করতে হবে। প্রয়োজনে এ খাতের দুই একজনকে নিয়ে গিয়ে কারাদণ্ড দিতে হবে’।

ইন্টারনেটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাতিলের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমি সাত বছর ধরেই বলে আসছি, ইন্টারনেটের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাতিল করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ইন্টারনেট সুবিধা বৃদ্ধি করা জরুরি। তা না হলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা উন্নয়নের মহাসড়ক থেকে পিছিয়ে পড়বে’।

মন্ত্রী বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন করতে হলে জঙ্গিবাদ দূর করতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রবৃদ্ধিসহ সামাজিক বৈষম্য দূর করে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে হবে। গরিব উৎপাদনের কাঠামোর সংস্কার করতে হবে। যে কাঠামো গরিব উৎপাদন করে তার কোনো প্রয়োজন নেই। সবার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করে ১৬ কোটি মানুষকেই টেকসই উন্নয়নে সম্পৃক্ত করতে হবে’।

বাংলাদেশ সামিট ২০১৬ এর আহ্বায়ক ড.  কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, বাংলাদেশে এখন ৩ কোটি দরিদ্র মানুষ আছেন, এর মধ্যে অতিদরিদ্র প্রায় দুই কোটি। প্রত্যেক গ্রামে-গঞ্জে তথ্য নিয়ে দারিদ্র্য দূর করতে হবে। মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি জরুরি। এর জন্য প্রয়োজন শিক্ষা, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সুবিধা’।

তিনি বলেন, ‘আমরা যাই করি না কেন, জলবায়ু পরিবর্তনে নজর দিতে হবে। তা না হলে আমরা কোনো এক এলাকায় দারিদ্র্য নিরসন করলাম, এরপর প্রাকৃতিক দুর্যোগে হয়তো সব কিছু লণ্ডভণ্ড করে দিলো। তাই দারিদ্র্য নিরসনের পাশাপাশি জলবায়ুর হুমকি মোকাবেলাও জরুরি। টেকসই উন্নয়নে জঙ্গিবাদ দমন অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। সাইবারেও জঙ্গিবাদ হচ্ছে। এটাতেও বড় ধরনের ক্রাইম চলছে। যেমন দেখলাম, সাইবার ক্রাইম করে ব্যাংকে বড় ধরনের লুট হলো। টেকসই উন্নয়নে জঙ্গিবাদ ও সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ করা জরুরি’।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আব্দুল মোমেন, অ্যামিনেন্স অ্যাসোসিয়েটস ফর স্যোশাল ডেভেলপমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা শামীম হায়দার তালুকদার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।