ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এসডিজি বাস্তবায়ন নিয়ে হতাশা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৬
এসডিজি বাস্তবায়ন নিয়ে হতাশা

ঢাকা: প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, জবাবদিহিতা, কর্মসংস্থান ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা না হওয়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ এই সংলাপের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। শুরুতেই নতুন বৈশ্বিক উন্নয়ন কাঠামোতে ১৬, বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে টেকসই উন্নয়ন ১৬ ও বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ১৬ বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জসমূহ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।

নিজেরা করি’র সমন্বয়ক খুশী কবির বলেন, অধিকাংশ মানুষ বিভিন্ন কারণে ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। যদি প্রত্যেক সেক্টরে তথ্য পাওয়ার জায়গা নিশ্চিত করতে না পারি, সরকার জবাবদিহিতা না করলে আমরা এগুতে পারবো না। এসডিজি বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হবে।

তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, কাঠামোগত আলোচনার সঙ্গে মাঠের বাস্তবতা যোগ করতে হবে। এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য দ্বিমুখী রাজনৈতিক প্রান্তিকীকরণ ও তৃণমূলের প্রান্তিক অবস্থায় বিরোধী রাজনৈকিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

সহিংসতার নতুন মাত্রা বিশ্বব্যপী আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। সহিংসতা বাস্তবসম্মতভাবে মোকাবেলার কৌশলে এগুতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম সাবির্কভাবে গ্রহণযোগ্যতা না পেলে এটি সম্ভব হবে না। সামাজিক মূলধনকে সামনে নিয়ে আসতে না পারলে সহিংসতা বন্ধ হবে না। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সংলাপে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বলেন, প্রতি বছর দেশে ১৪ লাখ মানুষ  চাকরির বাজারে প্রবেশ করে। এদের চাকরি দিতে না পারলে বেশি উপরে ওঠা যাবে না। এজন্য জব ক্রিয়েশন দরকার। এজন্য বিনিয়োগ দরকার, হচ্ছে না। বিনিয়োগকারী প্রয়োজন, দেশি বিনিয়োগ না হলে বিদেশি বিনিয়োগ হয় না। বিদেশিরা জমির অভাবে আসছেন না। দেশে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নাই। ৯০ শতাংশ অদক্ষ।

সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করার পরামর্শ দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী মারুফুল ইসলাম এসডিজির ভবিষ্যত সুবিধাভোগী তরুণদের ওপর ফোকাস দিতে পরামর্শ দেন।
 
ব্রতীর শারমিন মুর্শিদ বলেন, বর্তমানের অস্থির অবস্থায় মনে হয় বিশ্বশাসন ও গণতন্ত্র আমাদের প্রভাবিত করবে। এটি ভেবেই এগিয়ে যেতে হবে।
 
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজল দেবনাথ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রংসহ আরও অনেকে সংলাপে বক্তব্য রাখেন।
 
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম ম‍ুস্তফা কামাল বলেন, সব ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করে আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে পারবো বলে আশা করছি। এসডিজি হলো ভবিষ্যত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত একগুচ্ছ লক্ষ্যমাত্রা। জাতিসংঘ লক্ষ্যগুলো প্রণয়ন করেছে এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে সেগুলোকে প্রচার করেছে। এর মেয়াদ ২০১৫ থেকে ২০৩০ সাল। এতে মোট ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা ও ১৬৯টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

** নির্ধারিত সময়ের আগেই এসডিজি অর্জন
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৬
এসই/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।