ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

১৮ হাজার কোটি টাকার ৩০ শতাংশ বিতরণ ব্যাংকের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৬
১৮ হাজার কোটি টাকার ৩০ শতাংশ বিতরণ ব্যাংকের ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রায় ১৮  হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা বেশি।

তবে এ অর্থের ৩০ শতাংশ ব্যাংকগুলোকে নিজেদের বিতরণ করতে হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, শস্য ও ফসল চাষের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্ট ছাড়াই একজন কৃষক সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। আগে এ সীমা ছিল দেড় লাখ টাকা।

রোববার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে গভর্নর ফজলে কবির এ নীতিমালা ঘোষণা করেন। এ সময় ডেপুটি গর্ভনরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
 
গভর্নর বলেন, ‘মোট দেশজ উৎপাদনে কৃষি ও পল্লী অর্থনীতি খাতের অবদান প্রায় এক পঞ্চমাংশ। আর শ্রমজীবী কর্মশক্তির প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানে এ খাতের অবদান ৪৫ শতাংশের মতো’।
 
রফতানিতেও কৃষিখাতের ভূমিকা বাড়ছে। ২০১৬ সালের মে মাসে মোট রফতানিতে কৃষিপণ্যের অংশ ছিল ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। তবে গুরুত্বপূর্ণ এ খাতটিতে ব্যাংকিং ও আর্থিক বাজারের ঋণ যোগান রয়েছে সার্বিক ঋণ যোগানের তিন শতাংশেরও নিচে।
 
নীতিমালা অনুযায়ী, এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের আওতায়ও ব্যাংকগুলো কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে এজেন্টদের কমিশন বা সার্ভিস চার্জ হিসেবে গ্রাহকদের কাছ থেকে নির্ধারিত সুদের অতিরিক্ত দশমিক ৫০ শতাংশ আদায় করা সুযোগ রাখা হয়েছে। আম ও লিচুর পাশাপাশি পেয়ারা উৎপাদনেও সারা বছর ঋণ দেওয়া যাবে।
 
জুলাই থেকে কৃষি ও পল্লী ঋণের নির্ধারিত সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা হবে ১০ শতাংশ। ব্যাংকগুলোর সক্ষমতা ও শাখা স্বল্পতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিট ঋণ ও অগ্রিমের ২ শতাংশ ধরে নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর নতুন ৯টি বেসরকারি ব্যাংকের জন্য আগের মতোই মোট ঋণ ও অগ্রিমের ৫ শতাংশ হার ধরা হয়েছে।
 
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লীঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা গত অর্থবছরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ০১ শতাংশ বেশি।
 
২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর জন্য ৯ হাজার ২৯০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য ৮ হাজার ২৬০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
 
গত অর্থবছরে ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণ হয়েছে ১৭ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ১ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা বিতরণ করেছে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৬
এসই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।