ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সরকারের ঝুঁকিপূর্ণ বৈদেশিক ঋণ বাড়বে

শাহেদ ইরশাদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১৬
সরকারের ঝুঁকিপূর্ণ বৈদেশিক ঋণ বাড়বে

ঢাকা: কঠিন শর্তের ঋণ (অনমনীয়) প্রস্তাব বিবেচনার ক্ষেত্রে অনুদান সীমা বৃদ্ধি করা হলে সরকারের ঝুঁকিপূর্ণ বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
 
সম্প্রতি অনমনীয় ঋণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটি ঋণের অনুদান সীমা ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৩৫ শতাংশ করার প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কাছে পাঠিয়েছে।


 
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অনমনীয় ঋণ বলতে বোঝায় যেসব ঋণের অনুদান মান ২৫ শতাংশের কম। এ ধরনের ঋণ গ্রহণের জন্য অনমনীয় ঋণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির অনুমোদন নিতে হতো।
 
অনমনীয় ঋণের ঝুঁকি কমাতে ২০১৩ সালের ৩০ জুন সরকারের অর্থনৈতিক সর্ম্পক বিভাগ (ইআরডি) অনমনীয় ঋণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটি গঠন করেছে।
 
সরকারের বৈদেশিক ঋণের ২০১৫-১৬ অর্থবছরের পরিমাণ প্রকাশ করা হয়নি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণ ছিল প্রায় ২ লাখ ৭ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা।
 
সম্প্রতি ওই কমিটি বৈদেশিক ঋণের অনুদানসীমা ১০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। এতে বলা হয়েছে, বিশ্বে মুদ্রানীতি ও ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৩৫ শতাংশের মতো অনুদান বিশিষ্ট ঋণকে অনমনীয় ঋণ হিসাবে বিবেচনা করে থাকে।
 
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকারের অনুসরণও যথোপযুক্ত। তাই আগের ২৫ শতাংশের বেশি কিন্তু ৩৫ শতাংশের কম অনুদান বিশিষ্ট বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে কমিটির অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা থাকছে না।
 
বিষয়টি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দিলে ঋণগুলো উচ্চতর পর্যায়ে যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ আগের তুলনায় সীমিত হয়ে পড়বে। এর ফলে ঝুঁকিপূর্ণ বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
 
এ বিষয়ে ২০১৩ সালে ৩০ জুন জারি করা অর্থনৈতিক সর্ম্পক বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদটি সংশোধনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও।
 
অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন সময় বলেছেন, বাংলাদেশ সব সময়েই কঠিন শর্তের বৈদেশিক ঋণ গ্রহণকে নিরুসাহিত করে এবং অধিক হারে বৈদেশিক সহায়তা সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রথাগত নমনীয় ঋণ গ্রহণকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। ঋণ গ্রহণ প্রক্রিয়াকরণের সময়ে ঋণের শর্ত সহজ করার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়।
 
মুহিত বলেছেন, কেবল বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোগত খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগের জন্য যেসব প্রকল্প অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখবে এবং যেসব প্রকল্প থেকে ক্যাশ রিটার্ন প্রাপ্তির সম্ভাবনা বেশি, সেসব নীতির প্রকল্পে সীমিত আকারে অনমনীয় ঋণও সংগ্রহ করা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৬
এসই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।