ঢাকা: এগারো মাসের মাথায় ফের গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে রোববার (০৭ আগস্ট) থেকে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এ বিষয়ে গণশুনানি।
গ্রাহকভেদে ১০ থেকে ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে কোম্পানিগুলো। বর্তমানে এক চুলার মাসিক বিল ৬০০ টাকা এবং দুই চুলা ৬৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে যথাক্রমে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ১ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে কোম্পানিগুলো।
রোববার প্রথম দিনে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির সঞ্চালন মাশুল বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়ে শুনাননি হবে। সরকারি এই কোম্পানিটি প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের সঞ্চালন বাবদ বর্তমান কমিশন দশমিক ১৫৬৫ থেকে বৃদ্ধি করে দশমিক ৪২১৩ করার প্রস্তাব দিয়েছে।
যদিও কোম্পানিটি অনেক আগে থেকেই অনেক মুনাফা করে আসছে। গত বছরে প্রফিট বোনাস বাবদ সর্বোচ্চ ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বোনাস প্রদানের খবর পাওয়া গেছে। তারপরও এই দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের কোনো যৌক্তিকতা দেখছে না ভোক্তাদের সংগঠন ক্যাব।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ২ টাকা ৮২ পয়সা থেকে ৪ টাকা ৬০ পয়সা এবং শিল্পে বয়লারে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ৬ টাকা ৭৪ পয়সা থেকে ১০ টাকা ৪৫ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব রয়েছে। সিএনজির দাম প্রতি ঘনমিটার ৩৫ থেকে বাড়িয়ে ৫৮ টাকা, গৃহস্থালিতে মিটারভিত্তিক গ্যাসের দাম ৭ টাকা থেকে ১৬ টাকা ৮০ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
৮ আগস্ট তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, ১০ আগস্ট পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, ১১ আগস্ট বাখরাবাদ গাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, ১৪ আগস্ট কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, ১৬ আগস্ট জালালাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ও ১৭ আগস্ট সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির গ্রাহক পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর শুনানি হবে।
১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস ও বাপেক্সের সরবরাহ করা গ্যাসের পাইকারি মূল্য বাড়ানোর বিষয়ে গণশুনানি হবে। এতে অংশ নিয়ে মতামত দেওয়ার সুযোগ রয়েছে ভোক্তাদের। তবে সকালে উপস্থিত হয়ে আলোচনায় নিজের নাম লিপিবদ্ধ করতে হবে।
এর আগে গত বছর আগস্টে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম গড়ে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল, যা গত সেপ্টেম্বর কার্যকর হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৬
এসআই/টিআই