ঢাকা: জুলাই মাসে পবিত্র ঈদ-উল ফিতরে নতুন নতুন খাদ্যপণ্য বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। যার প্রভাব পড়েছে মূল্যস্ফীতিতে।
ডাল ও চিনির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এর প্রভাবও পড়েছে খাদ্যে।
মঙ্গলবার (০৯ আগস্ট) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনে কক্ষে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া জুলাই মাসের ভোক্তা
মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, শাক-সবজি, ফল, মসলা, তামাক, দুধজাতীয় দ্রব্যাদি এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর মূল্য জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে বেড়েছে। মাসিক ভিত্তিতে অর্থাৎ মে মাসের তুলনায় জুন মাসে খাদ্য সামগ্রী উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে। কৃষকের কাছ থেকে সরকার বাড়তি দামে চাল ও ধান সংগ্রহ করেছে। এর প্রভাবও পড়েছে খাদ্যপণ্যে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব তথ্য প্রকাশ করে বলেন, ঈদের কারণে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। ঈদের কিছু নতুন নতুন খাদ্যপণ্য বাড়তি দামে কেনা হয়েছে। এর পাশাপাশি সরকার বাড়তি দামে কৃষকের কাছ থেকে খাদ্যপণ্য কিনে সংগ্রহ করছে। এর প্রভাবে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। সরকার যদি বাড়তি দামে কৃষকের কাছে খাদ্যপণ্য না কেনে, তবে কৃষকরা সমস্যায় পড়বেন। আমাদের সব দিক বিবেচনা করতে হচ্ছে। তবে বাজেটে যে প্রাক্কলন করেছিলাম তা ধরে রাখতে পেরেছি’।
জুলাই মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার চড়া হলেও মাসওয়ারী সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। জুন মাসে যা ছিল ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
তবে বিবিএ বলছে, স্বস্তি দিয়েছে খাদ্য বহির্ভূত পণ্য। জুন মাসে খাদ্য
বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, জুলাই মাসে কমে হয়েছে ৬
দশমিক ৯৮ শতাংশ।
বিবিএস এর মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনা করলে দেখা গেছে, জ্বালানি ও আলো, প্রসাধনী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র,
গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতের মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমুখী হয়েছে।
জুলাই মাসে গ্রামীণ পর্যায়ে সাধারণ পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ। জুন মাসে এ হার ছিল ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ফলে গ্রাম পর্যায়েও স্বস্তির সঙ্গে খাদ্য ও খাদ্য বর্হিভূত পণ্য কিনতে পারছেন গ্রামের মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর