ঢাকা: বস্তিবাসীর উন্নয়নে সরকার নানামুখি পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, সরকারের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে আগামী ২০২১ সালে বস্তিবাসী বা মার্জিনাল মানুষের ইতিবাচক পরিবর্তন চোখে পড়বে।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলের বলরুমে ‘দ্য চাইল্ড ওয়েল-বিং সার্ভে’ (সিডব্লিউএস) জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন। ইউনিসেফের সহায়তায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ জরিপ প্রতিবেদন তৈরি করে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও পিপিআরসির চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, স্থানীয় সরকার-পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য বিভাগের সচিব কে এম মুজাম্মেল হক, ইউনিসেফের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক জিন গফ, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেগবেদার প্রমুখ।
নন-গভমেন্ট অর্গানাইজেশনগুলোর (এনজিও) বিভিন্ন সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, হতদরিদ্রদের জন্য এমন কিছু প্রকল্প গ্রহণ করুন, বস্তির মানুষের উন্নয়নে কাজ করে দেখান, যাতে অন্যরা অনুপ্রাণিত হয়।
তিনি বলেন, দরিদ্র, হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে সরকারিভাবে অনেকগুলো প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে উন্নয়নের মূল ধারায় যুক্ত করতে। আশা করি ২০২১ সালের মধ্যে সেটা সম্ভব হবে।
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সমস্যা সমাধানে আমাদের দেশের সক্ষমতা বেড়েছে। সরকারি-বেসরকারি প্রচেষ্টায় আমরা বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা এখন স্বাবলম্বী, আত্মবিশ্বাসী জাতি।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, শহর ও গ্রামের দরিদ্র মানুষের চিত্র ভিন্ন। আমাদের বস্তির মানুষগুলো স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার এখনও উন্নয়ন হয়নি।
তিনি বলেন, গার্মেন্টস শিল্পে শিশুশ্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। বস্তিতে আর্লি ম্যারেজের হার ৩০ শতাংশ। বস্তির শিশুদের স্বাস্থ্যের দিকে তাকালেই বোঝা যায় ‘স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন’। এসব সেক্টরে এখনও কাজ করার রয়েছে বলে জানান তিনি।
ইউনিসেফের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক জিন গফ বলেন, বিশ্বের দরিদ্রতম শিশুদের একটি ক্রমবর্ধমাণ অংশ এখন শহরের বস্তিতে বাস করে। যেখানে তারা মানসম্মত স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সেবা থেকে বঞ্চিত। শহরের এই অসমতাকে চিহ্নিত না করে শিশু দরিদ্র হার কমানোর লক্ষ্য অর্জনে আমাদের অগ্রগতি সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
এসএম/জেডএস