ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কিছ‍ু আমলা দেশের জন্য ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত নেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
কিছ‍ু আমলা দেশের জন্য ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত নেন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী/ছবি: সুমন শেখ

ঢাকা: কিছু কিছু আমলা দেশের জন্য ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

রোববার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় চারটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের সঙ্গে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে তো কিছু কনডেনসেট (গ্যাসের উপজাত হিসেবে গ্যাসক্ষেত্র থেকে উত্তোলিত তেল) প্রডিউস করি।

সিলেটে কিছু কনডেনসেট হয়। সেই কনডেনসেট রিফাইন করে ভালো ভালো প্রডাক্ট পাই। সিলেটে প্রায় ১০-১১টা কনডেনসেট ফ্যাক্টরি আছে।

তিনি বলেন, আজকে এখানে খবর পেলাম, মন্ত্রণালয় কোনো কারণ ছাড়াই ৫/৬টা কনডেনসেট বন্ধ করে রেখেছে অন্যায়ভাবে। দেশের ক্ষতি হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় আনফরচুনেটলি আমাদের কিছু কিছু ব্রুকেট (আমলা) এরকম উদ্ভট সিদ্ধান্ত নেন, যেটা দেশের স্বার্থের জন্য অত্যন্ত হার্মফুল। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। এটা করার কোনো অধিকার নেই। কিন্তু করে যাচ্ছেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখানে আলোচনার সব থেকে বড় আইটেম হলো এমপিওভুক্তি। এক বছর বাকি আছে নির্বাচনের। সুতরাং এমপিওভুক্তির জন্য সর্বোচ্চ চাহিদা রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় কমপক্ষে তিনটি স্কুল এমপিওভুক্ত করতে হবে।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বরাদ্দ বাড়বে। কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বাড়তি কিছু থাকবে না। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সুবিধা আমরা বাড়াবো। এমপিওভুক্তি চলছে। আমি এমপিওভুক্তি হ্রাস করার পক্ষে না।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বৈশাখী ভাতা পাবেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মুহিত বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বৈশাখী ভাতা পাবেন কি না এটা আমার জানা নেই। তাদের তো পাওয়ার কথা। পাবেন না কেন? যারা সরকারি চাকরি করে তারা সবাই পায়। সরকার যাদের বেতন দেয় তারা পাবেন না কেন? তাদের পাওয়া উচিত।

অর্থমন্ত্রী বলেন, যারা সর্বোচ্চ কর পরিশোধ করেন তারা সিআইপি হতে পারেন না। সিআইপির যে আইন কানুন তাতে তাদের কোনো জায়গা নেই। যারাই কোনো ক্ষেত্রে জাতীয় স্বীকৃতি পাবেন তারাই সিআইপি।

তিনি আরও বলেন, আলোচনায় উঠে এসেছে হাসপাতালের ম্যানেজমেন্ট ডিসেন্ট্রালাইজ করতে হবে। কারণ বিভিন্ন হাসপাতালে যে সরঞ্জাম থাকে, এই সরঞ্জাম নাড়ানোর মতো ক্ষমতা তাদের নেই। চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজের রেডিও থেরাপি মেশিন দুই বছর ধরে বন্ধ। এটা কোনো কাজ করছে না। এ জন্য হাসপাতালের ম্যানেজমেন্ট ডিসেন্ট্রালাইজ করতে হবে।

মাদকের ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটার বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। অনেক যুবক মাদকে আশক্ত হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ বিভাগ মাদকের সঙ্গে জড়িত বলেছেন কেউ কেউ।

মুহিত আরও বলেন, সবাই বলেছেন আইন-শৃঙ্খলার খাতিরে আমাদের উপজেলা পর্যায়ে পুলিশের যানবাহন বাড়ানো দরকার। সরকারি দরপত্রে ১০ শতাংশ কম দেয়ার সীমা করে রেখেছি। এটা কম বেশি হতে পারে।

স্কল আছে শিক্ষক নেই। হাসপাতাল আছে ডাক্তার নেই। আমাদের যথেষ্ট গ্যাপ রয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকের অভাব মারাত্বক ভাবে বেড়েছে বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
এসই/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।