বুধবার (১৮ এপ্রিল) বিআইএ’র কার্যালয়ে প্রাক-বাজেট উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর সুবিধার কথা তুলে ধরেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটো, পরিচালনা পরিষদ সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, নূরুল আলম, মনিরুল হক (পাবেল) প্রমুখ।
বাকি প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে- বিমা এজেন্ট কমিশনের বিপরীতে উৎসে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর ও এজেন্টদের উৎসে কর প্রত্যাহার এবং করমুক্ত ডিভিডেন্ট আয়ের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা।
বাজেটে বিমা খাতে এ ৬ ধরনের কর সুবিধা দেওয়া হলে দীর্ঘ দিন ধরেই অবহেলিত দেশের বিমা খাতের উন্নয়ন এবং জনপ্রিয়তা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ কবির হোসেন।
তবে তার অভিযোগ, ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর বাজেটের আগের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এনবিআর, অর্থ মন্ত্রণালয় দাবিগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করে। এগুলো কমানো যৌক্তিক বলে মনে করে। কিন্তু কোনো সময় তা বাস্তবায়ন করে না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিমা খাত।
এ বছর অর্থমন্ত্রী, সচিব এবং এনবিআরএ’র চেয়ারম্যানের কাছে প্রস্তাবনাগুলো দিয়েছেন। তারাও নীতিগতভাবে কর কমানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
শেখ কবির হোসেন বলেন, পৃথিবীর প্রায় সব দেশের অর্থনীতিতে বিমা খাত বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। সেই দেশের জিডিপিতে অবদান রাখে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। কিন্তু বাংলাদেশে বিমা খাতের অবদান ১ শতাংশ।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বিমা খাত অবহেলিত। বিমা খাতের প্রতি মানুষের আস্থা নেই। মানুষের কাছে ব্যাংকের গ্যারান্টির চেয়ে বিমা গ্যারান্টির গুরুত্ব কম। ফলে এ খাত দেশের দেশের অর্থনীতিতে সেই রকম অবদান রাখছে না।
এক প্রশ্নের জবাবে সহ-সভাপতি আহসানুল ইসলাম বলেন, বিমা খাতের উন্নয়নে সরকার ও বিমা কোম্পানিগুলো কাজ করছে। গ্রাহকদের আস্থা বাড়াতে আগের তুলনায় বেশি করে বিমা দাবি পূরণ করছেন। গ্রাহকরা যাতে প্রতারিত না হন সেজন্য সজাগ রয়েছেন। বিআইএ-ও কাজ করছে।
কিন্তু বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ২০১০ সালে গঠনের পর থেকে বিমা প্রতিবন্ধকতা দূর করেত সক্ষম হয়নি বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
এমএফআই/জেডএস