বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ২০১০ সালে কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে পাইলট প্রকল্পের মধ্য দিয়ে বর্ডারহাটের কার্যক্রম শুরু হলেও নানা কারণে তা তেমন সফল হয়নি। তবে জনগণের কিন্তু আগ্রহের কমতি নেই।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বর্ডার হাট নিয়ে হাট কমিটির মধ্যেই জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী একজন ব্যবসায়ী তার দেশের স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সব পণ্যই হাটে বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু হাট কমিটি যার সুপারির লাইসেন্স আছে, তাকে সুপারি ছাড়া অন্য কিছু বিক্রি করতে দেয় না। আবার বিজিবি বা বিএসএফও অনেক সময় ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের হয়রানি করে থাকে। যেমন হাট থেকে ৫ জন ক্রেতা পণ্য কিনে একটি ভ্যানে করে আসছেন, কিন্তু বিজিবি তা একজনের পণ্য হিসেবে গণ্য করে বাজেয়াপ্ত করে। এতে ক্রেতা ও বিক্রেতারা ক্ষতি ও হয়রানির শিকার হন।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় হাট কমিটি, ক্রেতা-বিক্রেতা, পুলিশ ও বিজিবিকে নিয়ে কর্মশালার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হাট পরিচালনার জন্য একটি গাইড লাইনও তৈরি করছে। ভারতের পক্ষ থেকেও এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এদিকে স্বরাষ্ট্র সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, বর্ডার হাট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি আছে। কমিটি হাট পরিচালনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে থাকে। বিজিবি পাহারার কাজ করে। পুলিশও প্রয়োজনে সহায়তা দেয়। তবে কারো অসহযোগিতার কিছু থাকলে তা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্ডার হাটের বিষয়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী খুবই পজেটিভ। আমরা বিষয়টিকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো ও তৃণমূল পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের ভিত্তি মজবুত করার উপায় হিসেবে দেখছি।
বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে চারটি বর্ডার হাট আছে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরো ছয়টি বর্ডার হাট। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে আরো হাট স্থাপনের বিষয়েও দুই দেশ মৌখিকভাবে সম্মত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
আরএম/আরআই