রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন অর্থবছরে প্রকল্পের সংখ্যা ৪৩টি। এর মধ্যে ৪০টি বিনিয়োগ এবং তিনটি কারিগরি।
চাহিদা অনুযায়ি পায়নি বরাদ্দ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ৩৩ প্রকল্পে নতুন বছরের এডিপিতে মোট চাহিদা ৩ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। অথচ ২ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চাহিদা থেকে ১ হাজার ৭১০ কোটি টাকা কম বরাদ্দ পেয়েছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়।
কম বরাদ্দ প্রসঙ্গে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম জিকরুর রেজা খানম বাংলানিউজকে বলেন, নতুন অর্থবছরের শুরুতে বরাদ্দ কম হলে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। আমরা যদি প্রকল্প বাস্তবায়ন বাড়াতে পারি তবে অর্থবছরের শেষভাবে বরাদ্দ বাড়িয়ে নিতে পারবো। আপাতত যে বরাদ্দ আসছে এতে প্রকল্প রান করতে সমস্যা হবে না।
একই অবস্থা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের। অথচ বিদেশি পর্যটকরা সরাসরি যাতে কক্সবাজারে আসতে পারেন সে জন্যই কক্সবাজার বিমানবন্দরের বিদ্যমান টার্মিনাল ভেঙ্গে নতুন করে আন্তর্জাতিক মানের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। চলতি সময় থেকে শুরু করে ডিসেম্বর ২০১৮ মেয়াদে এটি নির্মাণ করা হবে। ইন্টেরিয়ম প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা। সরকারি খাতে উন্নয়ন প্রকল্প হিসেবে অর্থের সংস্থান করা হবে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের অ্যাসফল্ট ওভারলে প্রায় ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে। এই ক্ষয়প্রাপ্ত রানওয়েতে ঝুঁকি নিয়ে বোয়িং-৭৭৭ এয়ার ক্রাফট সীমিত লোডে ঝুঁকি নিয়ে উঠা-নামা করছে। নতুন অর্থবছরে এটাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বোয়িং-৭৭৭ অবতরণের অবকাঠামোগত সুবিধা নেই সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এই বিমানবন্দরের রানওয়ে ও টেক্সিওয়ের শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ৪৭৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন এডিপিতে এটাও অগ্রাধিকার প্রকল্প। অথচ চাহিদা অনুযায়ি বরাদ্দ পায়নি মন্ত্রণালয়।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) এই মন্ত্রণালয়ের মোট চাহিদা ছিলো ৯৩৬ কোটি টাকা। ১৩টি প্রকল্পের আওতায় এই চাহিদা ছিলো বিমানে। অথচ বরাদ্দ পেয়েছে মাত্র ৬৪৩ কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরে চাহিদা থেকে ২৯৩ কোটি টাকা কম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিমান ও সিএ) আবুল হাসনাত মোঃ জিয়াউল হক বাংলানিউজকে বলেন, নতুন অর্থবছরে সিলেট, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম বিমান বন্দরের রানওয়ে উন্নয়নে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সে জন্য নতুন বছরের এডিপিতে বরাদ্দ বেশি চাওয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় যেটা নির্ধারণ করেছে এটা চূড়ান্ত না। আশা করছি আমাদের প্রকল্প বাস্তবায়নের গতিতে পরবর্তী সময়ে বরাদ্দ বাড়িয়ে নেয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
জেডএম/