ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আবাসন খাতে প্রণোদনা নয়, প্রয়োজন সরকারের সুদৃষ্টি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১৭
আবাসন খাতে প্রণোদনা নয়, প্রয়োজন সরকারের সুদৃষ্টি জাতীয় অর্থনীতিতে আবাসন খাত শীর্ষক আলোচনা/ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: জিডিপিতে ১৫ শতাংশ অবদান রাখা আবাসন খাতে প্রণোদনা নয়, সরকারের সুদৃষ্টি চেয়েছেন আবাসন খাত সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ সুবিধার দাবি জানান তারা।

রোববার (০৭ মে) ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত ‘জাতীয় অর্থনীতিতে আবাসন খাত’ শীর্ষক আলোচনায় এ আহ্বান জানানো হয়।

রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আল আমীন বলেন, গত সাত বছর ধরে এই খাতে ক্রান্তিকাল দেখছি।

এই খাতে বিনিয়োগের জন্য কোনো উদ্যোগ দেখিনি।

তবে হাউজি বিল্ডিং লোন ৫০ লাখ থেকে এক কোটি টাকা বাড়ানো, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কোটি ৩০ লাখ টাকা সিলিং এবং ২৫ বছর মেয়াদী হোম লোন দেওয়ায় সাধুবাদ জানান রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেন, এজন্য এই খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আবাসন খাতের সহায়ক আসন্ন বাজেট প্রণয়ন করার দাবি জানিয়ে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট ভ্যাট ও ট্যাক্সের রেট কমিয়ে আওতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।

টাকা বিদেশে না পাঠিয়ে দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে রাজউকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান নুরুল হুদা বলেন, বিভিন্ন দেশে টাকা চলে যাওয়ায় জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ বিদেশ থেকে টাকা পায়। এ বিষয়টি চিন্তা করার সুযোগ আছে।

আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, যে খাত জিডিপিতে ১৫ শতাংশ অবদান রাখে এটা নিয়ে একটা মন্ত্রণালয় থাকা উচিত। সরকারের পাশাপাশি রিহ্যাবকেও উদ্ভাবনীমূলক চিন্তা করতে হবে- এই খাত কীভাবে রাজস্ব দেবে।

এজন্য বিজনেস মডেলের পরিবর্তন আনার ওপর জোর দেন নাঈমুল ইসলাম থান।

স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ দিলে বাড়ি ভাড়ার টাকায় ফ্ল্যাট কিনতে পারবে। ২৫/৩০ বছর মেয়াদী ঋণ সুবিদা দিতে হবে। আবাসন খাতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগও প্রয়োজন বলে মনে করেন এই স্থপতি।

আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুবিধা চেয়ে জাতীয় পার্টির নেতা কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, তা না হলে বাইরে চলে যাবে টাকা। গত দশ বছরে আট লাখ কোটি টাকা চলে গেছে।

পূর্বাচলে রাজউকের প্লট বরাদ্দ না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ফিরোজ রশীদ সেখানকার দেড়শ’ প্লট বাতিল করবেন বলে জানান। পাশাপাশি ধানমন্ডিতে লেকের পাশে এক বিঘার ওপর প্লট নেওয়া হবে বলেও জানান।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ শুধু রাজস্ব আহরণের পলিসি না করে রাজস্ব প্রদানের পরিবেশ ঠিক রাখার আহ্বান জানান। ব্যাংক ঋণসহ অন্যান্য যে সমস্যা আছে তা থেকে বের হওয়ার ওপর জোর দেন সাবেক চেয়ারম্যান।

আবাসন খাত ‘আইসিইউ’তে আছে জানিয়ে ব্যবসায়ী নেতারা সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে বাঁচানোর ওপর জোর দেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান।

গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, সংসদ সদস্য নূরজাহান বেগম মুক্তা, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিজিএমইএ সভাপতি সফিউল আলম মহিউদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন চ্যানেল আই-এর তৃতীয় মাত্রার উপস্থাপক জিল্লুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৭
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।