চিনি বাজারের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী মীর গ্রুপ ও এস আলম গ্রুপ এখন আর চাইলেই যে কাউকে চিনি দিচ্ছে না। এজন্য মোবাইল নম্বর, দোকানের ঠিকানা, ট্রেড লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নিয়ে তবেই চিনি ছাড়ছে এই দুই গ্রুপ।
শুধু তাই নয়, ১০ থেকে ১৫ ডিলারকে মনোনীত করে প্রতিজনকে ১৬ মেট্রিক টনের এক গাড়ি করে চিনি দিয়ে বলে দিচ্ছে, নির্দিষ্ট দামেই চিনি বিক্রি করতে। এজন্য যথাযথ মনিটরিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কেউ নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট দামে চিনি বিক্রি না করলে তাকে আর চিনি দিচ্ছে না মীর আর এস আলম গ্রুপ। উপরন্তু নির্দেশনা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করছে জেলা প্রশাসনে।
বর্তমানে প্রতি মণ চিনি বিক্রি হচ্ছে ২১৫৫ টাকা দরে।
এ প্রসঙ্গে মীর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস ছালাম বলেন, চিনির বাজার এখন স্থিতিশীল। এরই মধ্যে দাম কমে গেছে অনেক। শবে বরাত আর রমজানে দাম যাতে আর না বাড়ে আমরা তার ব্যবস্থা নিয়েছি।
তিনি বলেন, চিনির দাম মূলত বাড়ে বারবার হাতবদল হওয়ার কারণে। এটা যাতে না হয় তার সব ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে কেজি প্রতি চিনির যে ৬০ টাকা দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছিলো, এখন তার চেয়েও ২ টাকা কমে চিনি সরবরাহ করা হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে চিনির দাম আরো কমে যাবে।
এর আগে গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে হুট করে বেড়ে যায় চিনির দাম। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যায় বাজারে। কিন্তু রমজানের বাড়তি চাহিদা বিবেচনায় গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৩ মাসে ৮ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানির পরও হঠাৎ সরবরাহ কমে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সরবরাহ কমিয়ে চিনির বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরির অভিযোগ ওঠে খাতুনগঞ্জের চিনি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।
এমন পরিস্থিতিতে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয় মীর গ্রুপ ও এস আলম গ্রুপ। মাত্র সপ্তাহ খানেকের মধ্যে হরিলুট ঠেকিয়ে চিনির বাজারকে স্থিতিশীল করে তোলে তারা। তাদের উদ্যোগ সাধারণ ভোক্তাদের মনে স্বস্তি এনে দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
জেডএম