ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সবজিতে স্বস্তি, দাম অপরিবর্তিত মাছ-মাংসের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৭
সবজিতে স্বস্তি, দাম অপরিবর্তিত মাছ-মাংসের সবজি বাজারে স্বস্তি/ছবি: শাকিল-বাংলানিউজ

ঢাকা: রোজা ও ঈদ শেষ হলেও সবজি ছাড়া খুচরা বাজারে কমেনি অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম। তবে কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। মাছ,মাংস, ডাল, চালেরর দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

রোববার (২ জুলাই) রাজধানীর বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজারে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা যায়।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিকেজি এক নম্বর মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল রোজার দামেই বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৫৬ ও ৬২ টাকায়।

দেশি ও ভারতীয় ডাল ১৩০ টাকা, চিনি ৭৫ টাকা ও ভারতীয় রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা দরে।
তবে সবজির দামে ফিরেছে স্বস্তি। প্রতিকেজি পটল ৫০ টাকা থেকে কমে ৪০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা থেকে কমে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা থেকে কমে ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৫০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা থেকে কমে ৫০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা থেকে কমে ৮০ টাকা, শসা ৬০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নিত্যপ্রয়োজীয় পণ্যের বাজার
এছাড়া আলু প্রতি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায় এবং নতুন শিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগি ১০ টাকা কমে ১৭০ টাকায় বিক্রি হলেও গরুর মাংস এখনও ৫০০ টাকা ও খাসির মাংস ৭৫০-৮০০ টাকায়।
দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকা, দেশি রসুন ১২০ টাকা, দেশি আদা ১০০ টাকা ও চায়না আদা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
ঈদের পর মাছের বাজারদর কিছুটা বাড়তি। প্রতিকেজি রুই মাছ ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ প্রতিকেজি ১২০-১২৫ টাকা, তেলাপিয়া প্রতিকেজি ১৪০-১৫০ টাকা এবং কার্ফু কার্প মাছ ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

কমেনি মাংসের দামবিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোজা ও ঈদ পরবর্তী সময়ে রাজধানীর খুচরা বাজারগুলো খোলা হলেও রোজার সময় কিনে রাখা পণ্যই বিক্রি হচ্ছে। ফলে আগের মতোই রয়ে গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় শুকনো পণ্যের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নতুন চালান আসলে দামের পরিবর্তন হতে পারে, তবে তা বাড়বে না কমবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

অন্যদিকে সবজির চালান প্রতিদিন আসে এবং চাহিদা রোজার তুলনায় কমে যাওয়ায় দাম স্বাভাবিক রয়েছে।

মসলার দামও অপরিবর্তিতফার্মগেট কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী সজীব বাংলানিউজকে বলেন, সবজির দাম অনেক কমেছে। সহসা সবজি খুচরা বাজারের দাম বেড়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে বাজার দর তো সব সময় এক থাকে না। আবার কোন সময় দাম হঠাৎ করে বেড়ে যায় এবং কমে যায় বলা যায় না। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম না কমলে সবজির বাজারে এর প্রভাব পড়তে পারে।
শুক্রাবাদের মুদির দোকানি সাইফুল মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এখনও পুরনো চালানের পণ্যই বিক্রি করছি। তাই দাম আগের মতোই রয়েছে। তবে নতুন চালানের মাল এলে বোঝা যাবে দাম কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর কাঁচা বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা বাসার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সবজির বাজার মোটামুটি ঠিক আছে। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এখনও কমেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৭
এমএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।