ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘বিড়ি শিল্প বন্ধের ষড়যন্ত্র করছেন অর্থমন্ত্রী’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১৭
‘বিড়ি শিল্প বন্ধের ষড়যন্ত্র করছেন অর্থমন্ত্রী’ বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সংবাদ সম্মেলন/ছবি-রানা

ঢাকা: সিগারেটের পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশে বিড়ি শিল্প বন্ধের ষড়যন্ত্র করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান।

বুধবার (২ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘অর্থমন্ত্রী কর্তৃক বিড়ি শিল্প আবারও বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা’র প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আবদুর রহমান বলেন, বিড়ি শিল্প বন্ধের পাঁয়তারা মেনে নেওয়া হবে না।

তিন মাস আগে অর্থমন্ত্রী বিড়ি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বিড়ি শ্রমিকরা প্রতিবাদ জানান। এমনকি সংসদে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদও বিড়ি শিল্প বন্ধের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। কিন্তু আমাদের অর্থমন্ত্রী সেটা বোঝেন না। কেননা অর্থমন্ত্রী ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর পক্ষ নিয়ে বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করতে চান। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর সেই আশা পূরণ হবে না।

তিনি আরও বলেন, বিড়ি উপমহাদেশের একটি কুটির শিল্প। প্রায় দুই থেকে আড়াইশ বছর ধরে উপমহাদেশের লাখ লাখ মানুষ বিড়ি শিল্পে শ্রম দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এমনকি এই শিল্পে সরকারের কোনো অনুদান লাগে না। বিদেশ থেকে কোনো মালামাল আমদানিও করতে হয় না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারপারসন প্রফেসর মেজবাহ কামাল বলেন, বাংলাদেশে বিড়ি শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় ১৫-২০ লাখ মানুষ। এছাড়া ১ হাজার বিড়ি বানালে শ্রমিক পায় মাত্র ৩১ টাকা। তাই বিড়ি শিল্প বন্ধ করা হলে বিড়ি শ্রমিকদের জন্য বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সিগারেটের সঙ্গে যুক্ত মাত্র ১০ হাজার মানুষ। অর্থমন্ত্রীকে কিছুই বলার নেই। কারণ তিনি কোনো একটি সংস্থার হয়ে গরিবের পেটে লাথি মারার চেষ্টা করছেন। দেশের স্বার্থে তামাক শিল্প বন্ধ করা হলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে শুধু বিড়ি শিল্প বন্ধ করা হলে সেটা মেনে নেওয়া হবে না।  
 
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমকে বাঙ্গালী, সহ-সম্পাদক হারিক হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৭
এসজে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।