একই সঙ্গে বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণও। ফলে জুনের মতো জুলাই মাসেও লেনদেনের শীর্ষে থাকার তালিকায় দ্বিতীয় স্থান দখল রেখেছে ব্যাংকিং খাত।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলো ব্যাংক খাত। এর আগের মাস জুনেও দ্বিতীয় স্থানে ছিলো ব্যাংক খাত। শুধু তাই নয়, বিদায়ী অর্থবছরের দ্বিতীয় স্থানে ছিলো ব্যাংক খাত।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকিং তালিকাভুক্ত ত্রিশ ব্যাংকের মধ্যে বেশিরভাগ ব্যাংক আগের বছরের তুলনায় ভালো মুনাফা করেছে। কোম্পানিগুলোও শেয়ারহোল্ডাদের ভালো লভ্যাংশ দিয়েছে। এছাড়াও যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে কম দামে শেয়ার কিনতে পারায় বিনিয়োগকারীদের নজর এখন ব্যাংক খাতে।
তারা বলছেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের মুদ্রানীতি কেমন হবে এই বিষয়টা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটা ভয় ছিলো যে মুদ্রানীতি পুঁজিবাজারবান্ধব হবে কি না? কিন্তু গত ২৬ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণার পর বিনিয়োগকারীদের মধ্য থেকে এই ভয়টা কেটে গেছে। ফলে জুলাইয়ে শেষ কয়দিন এমনকি আগস্ট মাসের তিন কার্যদিবসই বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ারের দাম বেড়েছে। এ কারণে প্রায় সব খাতের শেয়ারের দাম কমার পরও ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ছিলো দেশের পুঁজিবাজার।
ডিএসই'র তথ্য মতে, জুলাই মাসে ডিএসইতে মোট ৬৫৯ কোটি ২৩ লাখ ৮ হাজার শেয়ার কেনা-বেচার মাধ্যমে ২০ হাজার ৯২৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকার লেনেদেন হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক খাতের অবদান ছিলো- ১৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। যা টাকার অংকে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৭৪ কোটি ৬৩ লাখ ৯ হাজার টাকা। ফলে খাতওয়ারি ডিএসইর লেনদেনের শীর্ষে থাকার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
এই খাতের চেয়ে ৪৯৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা বেশি লেনদেন হওয়া জুলাই মাসে শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে টেক্সটাইল খাত। ৪৮টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত এই খাতে ১৫৫ কোটি ৪৩ লাখ শেয়ারে হাতবদলের বিনিময়ে ৩ হাজার ৩২৪ কোটি ৫৬ লাখ ৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। যা শতাংশের হিসেবে ডিএসই’র মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ফলে কয়েক বছর পর লেনদেনের শীর্ষে স্থানে উঠে এসেছে বস্ত্র খাত।
বিদায়ী মাসে ২ হাজার ৩০৮ কোটি ৯৯ লাখ ২ হাজার টাকা লেনদেন হওয়ায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং খাত। ডিএসইতে এ খাতের অবদান ১১ শতাংশ।
এ ছাড়াও দুই হাজার ২৯১ কোটি ৪১ লাখ ৫ হাজার টাকা লেনদেন হওয়ায় চতুর্থ স্থানে ফার্মাসিউটিক্যালস খাত। যা শতাংশের হিসেবে ডিএসইতে অবদান ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
অন্যদিকে ডিএসই'র মোট ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ লেনদেনের ফলে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ফুয়েল অ্যান্ড পাওয়ার খাত। এ খাতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮৪ কোটি ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকার। আর ৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ পরিমাণ লেনদেন হওয়ায় ষষ্ঠ স্থানে উঠেছে আর্থিক খাত। ২৩টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত এই খাতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৭
এমএফআই/এএটি/এমএইউ/