এ বিষয়ে মঙ্গলবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে আলাদা আলাদা দুটো চুক্তি করেছে ঢাকার জাপানি দূতাবাস ও জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)।
জাপান সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন বৃত্তি প্রকল্পের (জেডিসি) অধীনে বাংলাদেশের বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দু্ই বছর মেয়াদি মাস্টার্স কোর্সে অধ্যয়নের সুযোগ পান।
এতদিন বছরে ১৫ জনকে এ বৃত্তি দিতো জাপান। এখন থেকে প্রতিবছর ৩০ জনকে বৃত্তি দেওয়া হবে। মাস্টার্সের পাশাপাশি চলতি বছর থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনেও বৃত্তি দেওয়া হবে। জনপ্রশাসন, অর্থনীতি বিষয় সংক্রান্ত, আইন, নগর পরিকল্পনা এবং সরকারের অর্থায়ন ও বিনিয়োগ নীতি বিষয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পান বৃত্তি প্রাপ্তরা।
যে বিনিময় নোট ও অনুদান চুক্তি হয়েছে তাতে তিন বছর ও চার বছরের আলাদা দুটি ধাপ বা চক্র রয়েছে। তিন বছরের চক্রের জন্য জাপান সরকার ৩৪ কোটি ৫০ লাখ ইয়েন বা ২৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা দেবে। আর চার বছর চক্রের চুক্তিতে দেবে ৪৪ কোটি ৪০ লাখ ইয়েন বা ৩২ কোটি টাকা। দুটো চুক্তিতেই বাংলাদেশের পক্ষে ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং জাপানের পক্ষে রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতনাবে ও জাইকার প্রধান প্রতিনিধি তাকাতোসি নিশিকাতা স্বাক্ষর করেন।
ইআরডি জানিয়েছে, ২০০১ সাল থেকে জাপানের এ প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত বাংলাদেশ। প্রকল্পটি চলবে ২০২০ সাল পর্যন্ত। এ পর্যন্ত ২৪০ জন কর্মকর্তা এ প্রকল্পের অধীনে জাপান থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বর্তমানে ৫৪ জন জাপানে অধ্যয়নরত আছেন। ২০১৬ সাল পর্যন্ত এ প্রকল্পে জাপান ৪৩৩ কোটি ইয়েন বা ৩১২ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে ইআরডি সচিব বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রেই জাপানের সহযোগিতা পেয়ে আসছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন তার মধ্যে অন্যতম। এসব সহযোগিতার ফলে বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে বলেন, জাপান চায় জেডিসি বৃত্তি প্রাপ্তরা তাদের দেশের আর্থ-সামাজিক নীতি প্রণয়নে ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশের বৃত্তিপ্রাপ্তরা সে প্রত্যাশা পূরণ করেছে। বিশ্বের ১৩টি দেশের কর্মকর্তাদের জাপান এ সুবিধা দিচ্ছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃত্তি পেয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৭
এমআইএস/জেডএম