ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনসহ ১১ প্রকল্পের অনুমোদন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৭
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনসহ ১১ প্রকল্পের অনুমোদন একনেকের সভা। ছবি: পিআইডি

ঢাকা: ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণকল্পে খাল পুন:খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্প’সহ মোট ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৯ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য আসবে ৭৯০ কোটি টাকা, বাকি ব্যয় সরকারি অর্থায়নে (জিওবি) মেটানো হবে।

 

বুধবার (০৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলানগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় এসব প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপার্সন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ব্রিফিংয়ে তথ্য জানান।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রকল্পটি  বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের ৩৬টি খাল খনন করে করবে সিডিএ। সরকারি অর্থায়নে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে চলতি সময় থেকে ২০২০ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে প্রকল্পটি।

মেগা প্রকল্পটির আওতায় চট্টগ্রামকে ঘিরে মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ খালগুলোর পাড়ে রাস্তা নির্মাণের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও খালগুলো পরিষ্কার করা হবে। খালের সঙ্গে সংযোগকারী পাকা ড্রেনগুলোর সংষ্কার ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে বৃষ্টির পানি দ্রুত সময়ে নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও থাকছে প্রকল্পে।
 
এ লক্ষ্যে ৩৬টি খালের ৫ লাখ ২৮ হাজার ২১৪ ঘনমিটার মাটি খনন করা হবে। নির্মিত হবে তিনটি জলাধার, দুই হাজার বৈদ্যুতিক পুল, ৮৮টি স্ট্রিট লাইট, ছয়টি কালভার্ট, ৮৬ কিলোমিটার সড়ক ও ৪৮টি পিসি গার্ডার সেতু। ১১ কিলোমিটার সাইড ড্রেনসহ ওয়াকওয়েও নির্মিত হবে চট্টগ্রাম নগরীজুড়ে। পুরো প্রকল্পের আওতায় ৬ হাজার ৫১৬ কাঠা জমি অধিগ্রহণ করা হবে।

একনেক সভায় অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মহেশখালী পাওয়ার হাবের ভূমি অধিগ্রহণ’, ৯৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কম্পিটিটিভনেস ফর জবস্‌’, ৪০০ কোটি ব্যয়ে ‘ফেরি ও পন্টুন নির্মাণ’, ১১৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘রাজাপুর-কাঁঠালিয়া-আমুয়া-বামনা-পাথরঘাটা মহাসড়ক উন্নয়ন’, ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কেরাণীহাট-সাতকানিয়া-গুণীগরী জেলা মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন’, ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সৌরশক্তি ও পানি সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি’ এবং ৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘আগারগাঁওস্থ শেরে বাংলানগরে পর্যটন ভবন নির্মাণ’ প্রকল্প।

‘পল্লী জীবিকায়ন’ প্রকল্পে ৫৭০ কোটি টাকা এবং ‘জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের কুলকান্দি ও গুঠাইল হার্ডপয়েন্টের মধ্যবর্তী যমুনা নদীর বামতীর রক্ষা’ প্রকল্পে ৩৮৪ কোটি  টাকা এবং ‘জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার যমুনা নদীর বামতীর সংরক্ষণের মাধ্যমে ভুয়াপুর-তারাকান্দি সড়করক্ষা’ প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০৪ কোটি  টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।