শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকালে বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছের দাম হাঁকা হয় ২ হাজার টাকা। নিলাম প্রতিযোগিতায় এই মাছ ১৬০০ টাকা দিয়ে কিনে নেন ওই বাজারেরই মৎস্য ব্যবসায়ী সাবির মিয়া।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বাজারে এমনিতেই ছোট মাছের দাম বেশি। এ মাছ আবারও বিক্রি করা হবে।
এ সময় সেখানে ঝুলিয়ে রাখা ২ কেজি ছোট চিংড়ি মাছও ১ হাজার ৩০০ টাকায় কিনে নেন সাবির। আর তখন শামীম বলেন, ‘বাজারে হুরু মাছ গিরাব’ (বাজারে ছোট মাছের দাম বেশি)।
তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মৎস্য ব্যবসায়ী আতাউর রহমান বলেন, হাওরের মাছ তো, তাই দাম বেশি। আর এখন হাওরের বড় মাছ নেই। হাওরের বড় মাছ বাজারে উঠে নভেম্বর-ডিসেম্বরে। এখন যা আছে সব চাষের মাছ। তবে ছোট মাছ এলেও খুব কম আসছে। তাই দাম অনেক চড়া।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে বিভিন্ন জাতের বড় সাইজের মাছ রয়েছে। এর মধ্যে দেশি বা হাওরের মাছের সংখ্যা কম। বাজার ধরে রেখেছে চাষের মাছ।
ফলে সুনামগঞ্জসহ হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ছোট বোয়াল, টেংরা, পাবদা, ছোট চিংড়ি, রানি মাছ, মলা মাছ, বাইমসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ উঠলেও দাম বেশ চড়া।
লামাকাজি এলাকার ছোট মাছের ব্যবসায়ী আজির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওর থেকে ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ বাজারে মাছ আসে। সেখান থেকে আমরা মাছ নিয়ে আসি সিলেটে। এই মাছগুলো গত রাতের (বৃহস্পতিবার) ধরা হয়েছে। তাই দেখতে একটু সাদা ও ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।
বাজারের খুচরা বিক্রেতা শাহীদ নূর বলেন, আমার সামান্য পুঁজি, ছোট মাছ যেগুলো উঠে নিলাম ডেকে বিক্রি করি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এনইউ/এমএ