শহরের মেছুয়া বাজারে বাজারে আসা ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক তোতা মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘এখন বাজারে ৬০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কিনবো- এমন দুঃসাহস করি না। কিনি ১০/১৫ টাকার, ২/৪টি যা হয়’।
তিনি বলেন, ‘রিকশার জমা প্রতিদিন ৩০০ টাকা। সড়কের বেহালদশায় ২০ টাকার ভাড়া নামাতেও ঘণ্টা দেড়েক সময় লাগে। দেখা যায়, দিন গেলে মালিককে জমা দেওয়াই মুশকিল হয়ে পড়ে। পেঁয়াজই শুধু নয়, সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় শাক-সবজিরই বাড়তি দাম বিপদ আরও বাড়িয়েছে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এক সপ্তাহ আগেও দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের কেজিপ্রতি দাম ছিলো ২০/২৫ টাকা। বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ৫৫/৬০ টাকা! আড়তদারদের কাছ থেকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে বলে দাম বাড়িয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও।
সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০ টাকা বাড়ার বিষয়টি অভাবনীয় স্বীকার করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুজন পাল জানান, ঈদের আগে আর দাম কমার সুযোগ নেই বলেই মনে হচ্ছে তার।
তবে আড়তদার সোনা মিয়া, মুসলিম খান ও হেলাল খান মনে করেন, আমদানি বাড়লে কিছুটা কমতে পারে পেঁয়াজের দাম।
ক্রেতা শম্ভু পালের অভিযোগ, তিনি দেখেছেন যে, আড়তে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে। তারপরও আড়তদাররা আমদানি হচ্ছে না জানিয়ে বাড়তি দাম নিচ্ছেন।
তবে ক্ষুদ্র পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের দাবি, এজন্য ক্রেতারাও কম দায়ী নন! দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা বাড়িয়ে দিচ্ছেন তারাই। আরও বাড়ার আশঙ্কায় যে ক্রেতা আগে নিতেন ১ কেজি, এখন তিনি নিচ্ছেন ৫-১০ কেজি! এভাবে ক্রেতারাই পেঁয়াজের বাজারকে আরও তাঁতিয়ে দিচ্ছেন।
পেঁয়াজ সংরক্ষণে বাজারে এসে ক্রেতাদের বাড়তি চাহিদা দেখানোর বিষয়টি এখন অনেকটাই আগুনে ঘি ঢালার মতো হয়েছে। ক্রেতাদের এতো চাহিদা দেখে আড়তদাররাও নানা অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে এখন বাড়তি মুনাফা অর্জন করছেন! বলেও দাবি করছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
এএসআর