ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঈদে বেড়ে যাওয়া বাজারদর আর কমছে না

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৭
ঈদে বেড়ে যাওয়া বাজারদর আর কমছে না রাজধানীর সবজির বাজার/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে গত মাসে দফায় দফায় কাঁচাবাজারে শাক-সবজিসহ মাছ, মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু ঈদের পরও দাম কমার কোন নামগন্ধ তো নেই বরং চড়া দামেই স্থিতিশীল রয়েছে বাজার দর। আবার কিছু কিছু পণ্যের দাম বাড়তেও দেখা গেছে। 

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুর, কারওয়ান বাজার, মতিঝিল এলাকা ঘুরে দেখা যায় এ চিত্র।

বাজারে আলু ২৫ থেকে ৩০, পেঁয়াজ ৫০,  পটল ৬০ থেকে ৭০, বরবটি ৩০, কাকরোল ৬০, গোল বেগুন ৬০ থেকে ৭০, লম্বা বেগুন ৮০ থেকে ৯০, ঢেড়শ ৫০ থেকে ৬০, সিম ১৩০ থেকে ১৪০, শশা ৪০, ধনে পাতা ২০০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, মরিচ ১৬০, চিচিঙ্গা  ৪০, লাউ প্রতি পিছ ৬০ থেকে ৮০, পেপে ৪০, করল্লা ৬০, টমেটো ১৪০, ধুন্দোল ৪০ এবং মূলা ৪০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া লাল শাক ১৫, ডাটা শাক ১০, কলমি শাক ১০, পুইশাক ২৫, পাটশাক ১০, কচুশাক ৫ ও শাপলা ৫ টাকা প্রতি আটি বিক্রি হচ্ছে।

ঈদকে কেন্দ্র করে কাঁচাবাজারে পণ্যের এসব দাম বাড়লেও পাইকারি আড়তদারদের জন্য এখনও দাম কমছে না বলে অভিযোগ খুচরা বিক্রেতাদের। আবার রাজধানীর মিরপুর এলাকার চেয়ে মতিঝিল এলাকায় সবজির দামে পাঁচ থেকে দশ টাকার তারতম্য দেখা গেছে।  

এছাড়া রাস্তায় ঈদ পরবর্তী যানজটের কারণে রাস্তাতেই বেশিরভাগ সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে দাম কমছে না বলে জানাচ্ছেন পাইকারি সবজি বিক্রেতারা। দাম কবে নাগাদ কমবে সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেনি মিরপুর-১ নং শাহ আলী কাঁচাবাজার ও কারওয়ান বাজারের পাইকারি সবজি বিক্রেতারা।  

মিরপুর-১ নম্বর শাহ আলী বাজারের সবজি বিক্রেতা আনোয়ার জানান, দাম বেশি বলে বিপাকে আমরাও। ক্রেতাদের সঙ্গে দামাদামি করতে হয় অনেক। আর পাইকারি বাজারে দাম বাড়তি থাকলে আমাদের তো কিছু করার থাকে না।

সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের খুচরা বিক্রেতা শহীদ বলেন, সবজির বাজারে এখন ক্রেতাদের ব্যাপক চাপ। কোরবানির ঈদের পর সবজির দিকে বেশি ঝুঁকছে মানুষজন। তাই মানুষ এখন সবজির দিকেই বেশি ঝুঁকছে। আর পাইকারি বাজার থেকে আমাদের কাছে পণ্য আসার পরিবহন খরচের কারণে দামটা আরও একটু বেড়ে যায়।  

এদিকে মাছ মাংসের বাজারেও চড়া দাম লক্ষ্য করা গেছে। বাজারে বড় রুই ৪০০, ছোট রুই ২৮০, পাবদা ৬৫০, শিং মাছ ৫০০, কোরাল ৭০০, কাতল ৩০০ থেকে ৩৫০, গুড়া মাছ ৩০০, বড় ইলিশ ৮০০ থেকে ১০০০, ছোট ইলিশ ৪০০ থেকে ৬০০, গরুর মাংস ৫৫০ ও মুরগি ১৫০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। মাছ মাংসের এই দরে গত সপ্তাহের চেয়ে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে।

কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা আলম জানান, বাজারে মাছের সংখ্যা কম আবার দামও বেশি। এদিকে ক্রেতাদের চাহিদা বেশি। মাছের উপর চাপ ঈদের আগে থেকেই বেশি ছিল আর এখনও আছে।  

কারওয়ান বাজারের আরেক মাংস বিক্রেতা রহমত বলেন, গরুর চালান নাই। গাবতলী হাটে দাম বেশি। আমাদের কেনা বেশি দামে আর ঈদের পর  আজকেই মাংসের বাজারে কাস্টমার দেখা যাচ্ছে। তাও সেভাবে আসছে না। সংখ্যা কম।  

কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা সরকারি কর্মকর্তা জিয়াদুল ইসলাম জানান, আমি মতিঝিল এলাকায় থাকি। কারওয়ান বাজারে কিছুটা কম দামে পাই বলেই সপ্তাহের বড় বাজারটা এখান থেকেই সারি। দাম প্রত্যেকটা পণ্যেরই বেশি। একেবারে অতিরিক্ত। ঈদের জন্য দাম বাড়লেও এতদিনে তো কমে যাওয়ার কথা কিন্তু এবার কমছে না।  

মিরপুর শেওড়াপাড়ায় আরেক ক্রেতা মিরপুরের হোটেল ব্যবসায়ী জীবন তার হোটেলের জন্য বাজার করতে এসেছেন। তিনি জানান, হোটেলে খাবারের রেট এখন অনেক বেশি। কারণ এই কাঁচাবাজার। দাম বেশি অনেকদিন ধরেই। আবার এই বেশি দামের জন্য আমাদের লাভও আগের তুলনায় কম হচ্ছে। ক্রেতারা এতো দামে খেতে চায় না।

বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৭
এমএএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।