ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘করোনা পরিস্থিতিতে পৃথিবীর সবাই ফেল করেছে, আমরা কিন্তু করিনি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২১
‘করোনা পরিস্থিতিতে পৃথিবীর সবাই ফেল করেছে, আমরা কিন্তু করিনি’ নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।

ঢাকা: ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস নগদের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন ভাতা বিতরণে সফলতার গল্প তুলে ধরেছেন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।

তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী উৎসাহ দিলে অসম্ভব বলে কিছু থাকে না।

করোনা পরিস্থিতিতে পৃথিবীর সবাই ফেল করেছে, আমরা কিন্তু ফেল করিনি।

শনিবার (০৩ জুন) টেলিযোগাযোগ বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘ভাতা বিতরণে ডিজিটাল প্রযুক্তি: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নিশ্চয়তা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে নগদ এমডি একথা বলেন।

এসময় আলোচনায় অংশ নেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষার উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. ইউসুফ আলী, এমটবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টিআইএম নুরুল কবীর, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর।

নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, আর্থিক কাজে ডিজিটালাইজেশন না করা গেলে ডিজিটাল বাংলাদেশের সামগ্রিক লক্ষ্য কখনই অর্জন করা সম্ভব হবে না। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে যদি আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে আনা না যায় তাহলে সেই লক্ষ্য পূরণে আমরা অনেক পিছিয়ে থাকবো।

প্রধানমন্ত্রীল হাত ধরে দুই বছর আগে নগদের জন্ম জানিয়ে নগদ এমডি বলেন, সেই জন্মে আমাদের লক্ষ্য ছিল আর্থিক অন্তর্ভুক্তির যারা বাইরে ছিল তাদেরকে নিয়ে আসা। সেই লক্ষ্যে আমরা প্রথম দিন থেকেই কাজ করে যাচ্ছি। আমরা মনে করি যথেষ্ট সফল হয়েছি এবং আমাদের অনেক কাজ করার আছে।

এমএফেএসের জন্ম ১২ বছর আগে জানিয়ে তিনি বলেন, ভাতা ডিজিটালাইজেশন, এক লাখ আট হাজার কোটি টাকার ফান্ড আছে। এগুলো কেনো আগে ম্যানুয়ালি হতো। কেনো এমএফএসে আসেনি। এটা হয়নি এতে সরকারের দোষ দেখি না। দোষ দেখি আমরা যারা এমএফএস অপারেটর ছিলাম তারা এই ব্যাপারটা নিরুৎসাহিত করতাম। এখানে যে আর্থিক বেনিফিট থাকে সেটা নাই বললেই চলে। সেই কারণে হয়তো আমরা নিরুৎসাহিত করতাম। সরকারের আসলে কোনো কিছু করার ছিল না। এই জায়গায় একটা মনোপলি ছিল, জিম্মি ছিল, সরকারকে ম্যানুয়ালি করতে হতো। আমরা নগদ উদ্যোগ নিয়েছি যে এটা ডিজিটলাইজেশন করে ছাড়বোই। এটা যখন আমরা শুরু করেছি তখন অনেকেই হাসাহাসি করেছে, অনেকেই নিরুৎসাহিত করেছে যে ডাক বিভাগ যেমন জরাজীর্ণ হয়ে গেছে নগদও কয়েদিন পর মারা যাবে এই কাজ করতে গিয়ে। আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল, মন্ত্রী মহোদয় সহয়তা করেছেন। এটা সফল হয়েছে দেখেই অন্যান্য অপারেটরও এগিয়ে এসেছে। বিগত ছয় মাসে যদি ১০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়ে থাকে এরমধ্যে সাত হাজার কোটি টাকা নগদ দিয়েছি। আমরা ছয় মাসে দুই কোটি মানুষকে সাড়ে সাত কোটি আর ভাতা বিতরণ করেছি। এটাকে যদি দুই কোটি ফরম পূরণ করে ডাটা এন্ট্রি করে ম্যানুয়ালি চিন্তা করেন তাহলে বাংলাদেশে অসম্ভব একটা কাজ। এতে সহযোগিতা করেছে প্রাথমিক মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তা। এটা শুধু নগদের জন্য সফল না প্রতিটি কর্মকর্তা সাহায্য করেছেন।

মিশুক বলেন, প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন এটা ডিজিটালাইজড হবে, সেজন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে ভাতাগুলো বিতরণ সম্ভব হয়েছে। আমরা করিয়ে দেখিয়েছি- প্রধানমন্ত্রী যখন উইশ করে তখন অসম্ভব বলে কিছু নেই।

নগদ এমডি বলেন, সরকারের এক প্রজেক্টে এক হাজার কোটি টাকা সেইভ হয়েছে। কারণ এটা ২২ টাকা পর্যন্ত ছিল সেটা সাত টাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। ভাতা চলে যাওয়ার পরে সেটা রিফার্ড করাও বাংলাদেশের ইতিহাসে ঘটেনি, ১৬ লাখ ভুয়া ভাতা ফেরত এসেছে।

টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সভাপতিত্বেও সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে সেমিনার সঞ্চালনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২১
এমআইএইচ/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।