ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দুই মাস পর তামাবিল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩২ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২১
দুই মাস পর তামাবিল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

সিলেট: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে টানা দুই মাস নয় দিন বন্ধ থাকার পর তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দুপুর থেকে তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পুনরায় দু’দেশের মধ্যে এ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়।

 

এদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত পাঁচটি পাথরবোঝাই ট্রাক ও একটি আদাবোঝাই ট্রাক ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছে।  আমদানি-রপ্তানি শুরু হওয়ায় তামাবিল বন্দর এলাকায় বেড়েছে ব্যস্ততা। এছাড়া করোনার কারণে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে ভারতে।  

সিলেটের বৃহৎ তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হওয়ায় তামাবিল স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।  

আগামী বুধবার (৭ জুলাই) সকাল থেকে পুরোদমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে বলে তামাবিল ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন।

তামাবিল কাস্টমস সূত্র জানায়, দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তামাবিল স্থলবন্দরের কার্যক্রম সচল থাকলেও ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গত ২৬ এপ্রিল মেঘালয়জুড়ে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। ফলে এর পর থেকে ডাউকি স্থলবন্দরের পাশাপাশি সব স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এ কারণে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ডাউকি স্থলবন্দর দিয়ে চুনা পাথর, পাথর, কয়লা ও কাঁচামাল পণ্য তামাবিল স্থলবন্দরে প্রবেশ করেনি।  

সম্প্রতি মেঘালয়ে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার ফলে বিগত কয়েক দিন ধরে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন ও ভারতীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ স্থলবন্দরটি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা জানান।  

এ বিষয়ে তামাবিল পাথর, চুনা পাথর ও কয়লা আমদানি কারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, করোনার কারণে গত মে মাসের শুরু থেকেই ডাউকি স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। দীর্ঘদিন ধরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার ফলে তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য সামগ্রী আমদানিকারকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। এতে অনেক ব্যবসায়ী আর্থিকভাবে ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হন। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি স্থলবন্দরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েক হাজার শ্রমিক ও কর্মচারীরা কাজ হারিয়ে হতাশায় ভোগছিলেন। এ বন্দর দিয়ে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হওয়ায় এলাকার দিনমজুরসহ ব্যবসায়ীরাও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন।

এ ব্যাপারে তামাবিল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মাহফুজুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্থলবন্দরের কার্যক্রম চালু হয়েছে। প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ থেকে এ বন্দর দিয়ে আবারও আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে।  

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সতর্কতা হিসেবে প্রশাসনের উদ্যোগে ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সহযোগিতায় পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় প্রত্যেকটি পরিবহনকে জীবাণুনাশক স্প্রে করে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২২৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২১
এনইউ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।