ঢাকা, সোমবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চাল মজুদ ঠেকাতে গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকবেন মিলাররা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২১
চাল মজুদ ঠেকাতে গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকবেন মিলাররা

ঢাকা: মিলাররা অবৈধভাবে চাল মজুদ করছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে গোয়েন্দা সংস্থাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি ব্যবসায়ীরা এবার অনেক মজুদ করছেন, ফরিয়ারা তো রয়েছেন।

স্থানীয় প্রশাসন মজুদের তদারকি করছে। এরপরও মজুদ রেখে যাতে দাম বাড়াতে না পারে সেজন্য বেসরকারিভাবে আমদানির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছিলাম, তিনি অনুমোদন দিয়েছেন। এনবিআর এসআরও জারি করেছে।  

সোমবার (১৬ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।  

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ হাজার মিল মিলে সিন্ডিকেট করা সম্ভব কী? তবে হ্যাঁ, এদের মধ্যে কেউ কেউ আছে, অধিক অর্থ আছে, তারা মিলে মজুদের চেষ্টা করে। মিলে মজুদ না করে গোপন কোনো জায়গায় মজুদ করে কিনা সেটি আমরা মনিটরিং করার চেষ্টা করছি, গোয়েন্দা সংস্থাকে চিঠি দিয়েছি। অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে, বাজার থেকে চাল তুলে নিয়ে প্যাকেটজাত করছে। এতে সরু চালের ওপর প্রভাব পড়ছে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ধানের দাম অনেক কমে যাওয়ায় চাল আমদানিতে ট্যাক্স সাড়ে ৬২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। কৃষকদের বাঁচাতে এ ট্যাক্স আরোপ করা হয়েছিল। তখন ধান রপ্তানির মতো অবস্থাও ছিল না। ফলে কৃষকরা কম মূল্য পেত। তারা ধান উৎপাদন না করে জমি কেটে চিংড়ি ঘের, পুকুর, ফল ও সবজির বাগান করছিল। তখন যাতে চাল আমদানি না হয় সেজন্য এ ট্যাক্স আরোপ করা হয়েছিল।

ব্যবসায়ীদের সমালোচনা করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার সময় এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেয়। ২০১৮ সালের মজুদ দিয়ে করোনা মহামারি ভালোমতো মোকাবিলা করেছি। গতবার বোরো মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার কারণে আবাদ কম হয়, আমাদের মজুদও কমে যায়। ফলে চাল আমদানি করে মজুদ ঠিক রাখতে হয়। আমন ধানও চাহিদামতো মজুদ করা যায়নি। এবার উৎপাদন আরও বেড়েছে। এ সময়ে চালের দাম আরও কম থাকার কথা। কেন বাড়ছে আমরা তা খতিয়ে দেখছি। এখন ১৪ লাখ মেট্রিকটন চাল মজুদ আছে। ওএমএম, সারা দেশে বিশেষ ওএমএস দেওয়া হচ্ছে। চাল আনতে বিধিনিষেধের মধ্যে ট্রাকের ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় চালের দামে বেড়েছে আড়তদারা বলেছেন।

তিনি বলেন, মিলাররা আগে পাক্ষিক ছাটাই ক্ষমতার পাঁচগুণ মজুদ করতে পারলেও তা কমিয়ে তিনগুণ করে দেওয়া হয়েছে। এ তিনগুণের এক অংশ বাজারে যাবে, এক অংশ মিলে থাকবে, আরেক অংশ মজুদ থাকবে। এক পাক্ষিকের মধ্যে হিউজ স্টক করার স্কোপ নেই।

মন্ত্রী বলেন, যারা চাল আমদানি করতে চান তাদের আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে আবেদন করতে বলেছি, তাদের আবেদন দেখে সক্ষমতা অনুযায়ী আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। আমি আশা করি, আমদানির চাল কিছুটা এসে ঢুকলেও তখন এর প্রভাব পড়বে এবং যারা ধান বা চাল মজুদ করে রেখেছে, তারা সেগুলো বাজারে ছেড়ে দেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২১
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।