ঢাকা, রবিবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ সফর ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নিত্যপণ্যে ভ্যাট সাময়িক কমালে সুবিধা হতো: বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
নিত্যপণ্যে  ভ্যাট সাময়িক কমালে সুবিধা হতো: বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা: আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে, দেশের বাজারে কমানো হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। একই সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের ওপর থেকে ৩/৪ মাসের জন্য ভ্যাট কমালে সুবিধা হতো বলে জানান তিনি।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে নবনিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের অধীনে যে কয়টি পণ্য আছে যেমন তেল, চিন, পেঁয়াজ ও ডাল এগুলো সবই আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কিনতে হয়। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কিনে আনতে যে দাম পড়ে তার ওপর পর্যালোচনা করে আমরা একটা দাম নির্ধারণ করি। আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম না কমলে আমরা কমাবো কেমন করে? সার্বিক ভাবেতো কমানো যায় না। তবে আমরা যেটা পারি সেটা হলো টিসিবির মাধ্যমে তৃণমূল মানুষকে ন্যায্য দামে পণ্য দিতে।

তিনি বলেন, কেবল মাত্র আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, চিনি ও ডালের দাম কমলেই আমাদের দেশে কমানো সম্ভব। এর বাইরে যে অন্যান্য পণ্য রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আমার ধারণা সীমিত। তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমলে আমরাও কমিয়ে দেব।

টিপু মুনশি বলেন, গত কয়েক দিন ধরে শুনছি যে তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমার একটা প্রবণতা দেখা দিয়েছে। যদি কমতে থাকে, তাহলে নতুন করে দাম নির্ধারণ করব। কিন্তু সেটার প্রভাব পড়তে একটু সময় লাগবে। দাম কমে গেলে আমাদের দেশেও কমে যাবে।

ভ্যাট কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দিয়েছিলেন সেটার খবর কী? উত্তরে টিপু মুনশি বলেন, পেঁয়াজ, চিনির ওপর ভ্যাট কমিয়েছে। তেলে এখনও কমেনি। তেলে অন্য কিছু নেই, ভ্যাট-ট্যাক্স আছে, সেটার জন্যও বলেছি। যদি কমায় তাহলে একটু সুবিধা হতো, সাধারণ মানুষের সাশ্রয় হবে। তবে সরকারের রাজস্বও দরকার আছে। কোথাওতো ব্যালেন্স করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের ওপর থেকে আপাতত ৩/৪ মাসের জন্য ভ্যাট কমালে আমাদের জন্য সুবিধা হতো। তারপরও দেখা যাক কী করে।

পেঁয়াজের দাম নিয়ে তিনি বলেন, এর দাম কিছুটা কমেছে, এক-দেড় মাসের মধ্যে আরও কমে ৪০ টাকার নিচে চলে আসবে। বর্তমানে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের আমদানি যদি ঠিক থাকে এবং ভারত যদি বন্ধ না করে তাহলে দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। আর মুড়িকাটা পেঁয়াজও আগামী মাসে ওঠবে। তাই পেঁয়াজ নিয়ে তেমন কোনো চিন্তা করছি না। যদি অন্য সমস্যা না হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭,২০২১
জিসিজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।