ঢাকা: এই মুহূর্তে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এখনও আমরা শান্তির কোনো রাস্তা দেখছি না। যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ আজ পর্যন্ত আমাদের সামনে নেই।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এডিবি, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ বিশ্ব অর্থনিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমানো হয়েছে, মূল্যস্ফীতিও বাড়বে। অন্যদিকে আপনি চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি নির্ধারণ করেছেন ৭.৫ শতাংশ, এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, জিডিপির প্রবৃদ্ধি আমরা পুরনো যেটা সেটাই রেখেছি। আমরা আগাম কিছু বলছি না। প্রজেকশন আপনারা যা দিচ্ছেন আমি সেটা অস্বীকার করবো না। কারণ হলো এখনও আমরা শান্তির কোনো রাস্তা দেখছি না। যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ আজ পর্যন্ত আমাদের সামনে নেই। এই মুহূর্তে যুদ্ধটাই হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
ভর্তুকি ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে কৌশল কী, ভর্তুকির ম্যানেজমেন্টে দাম বাড়ানোর বিষয়টি সরকার পেন্ডিং রাখছে। এখন পেন্ডিং রাখা হবে না কি বাড়িয়ে সমন্বয় করা হবে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি, তবে সিদ্ধান্ত নেবো। আগে আমরা সাবসিডি ম্যানেজমেন্ট না মূল্যস্ফীতি ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভাবছি। মূল্যস্ফীতি ব্যবস্থাপনা কীভাবে করবো সেটা আপনারা সময় মতো জানতে পারবেন।
আগামী বাজেটে ভর্তুকি নিয়ে কেমন চাপ অনুভব করছেন জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের যে ঘাটতি রয়েছে, আমরা মনে করি সেটা পূরণ করতে পারবো। যদি কোন প্রয়োজন না হয় তাহলে যেভাবে আছে সেভাবে আমরা পারবো। আমরা পৃথিবীর কারো থেকে আলাদা নই। সবার সাথে একীভূত আছি। তার ওপর আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আমি মনে করি যুদ্ধ থেমে যাবে, এই মারামারি হানাহানি বন্ধ হয়ে যাবে। এই বিশ্বাস নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমরা প্রজেকশন অনুযায়ী কাজ করছি। যদি কোনো প্রভাব পড়ে তাহলে আমরা সে অনুযায়ী কাজ করবো। আশা করবো কোনো রকমের সমস্যার সৃষ্টি যাতে না হয়।
বিশ্ব বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, আপনাদের কৌশলগত কী ব্যবস্থা থাকবে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা যে প্রশ্নগুলো করেছেন সে প্রশ্ন সবাই করেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আমি গত মিটিংয়েও পরিপূর্ণভাবে বলেছি, জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। সারা বিশ্বের কোন দেশে কতো মূল্যস্ফীতি হয়েছে সেটা বলেছি। আমরাও সারা বিশ্বের সাথে একীভূত। বিশ্বের কোথাও যদি কিছু বাড়ে, আমাদের যাদের সাথে লেনদেন আছে, এখন লেনদেন সবার সাথে সবার রয়েছে। এ সকল ক্ষেত্রে যদি এ ধরনের কিছু হয় তাহলে আমাদের ভোক্তাদের সাথে সরকারকে ভাগাভাগি করে নিতে হয়। আমরা সেভাবে চলে আসছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২২
জিসিজি/এমজেএফ