ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

দাম বাড়ার পর কমেছে ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন বিক্রি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
দাম বাড়ার পর কমেছে ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন বিক্রি

ঢাকা: দেশে ৪২ থেকে ৫২ শতাংশ পর্যন্ত জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কমেছে। বিশেষ করে অকটেন ও পেট্রোলের বিক্রি বেশ কমে গেছে।


বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তথ্য মতে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর আগে গত জুলাই মাসে গড়ে দৈনিক অকটেন বিক্রি হতো এক হাজার ৩০৯ টন। গত ৫ আগস্ট তেলের দাম বাড়ার পর বিক্রির পরিমাণ নেমে এসেছে এক হাজার ১৮৫ টনে।

পেট্রোল দৈনিক গড়ে বিক্রি হতো এক হাজার ৩০০ টন, দাম বাড়ার পর দৈনিক গড়ে বিক্রি নেমে এসেছে ৮০০ টনে। গত জুলাই মাসে গড়ে দৈনিক ডিজেল বিক্রি হয়েছিল ১৩ হাজার ৬০০ টন। দাম বাড়ার পর গড়ে দৈনিক ডিজেল বিক্রি হয় ১৩ হাজার ২০০ টন।

বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ভোক্তাদের মধ্যে কেউ কেউ সঙ্কুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) ও তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বা অটোগ্যাসের ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে এবং পেট্রোল ও অকটেনের বিক্রি কমেছে বলে মনে করছেন জ্বালানি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

সিএনজি ও এলপিজি খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অকটেনের তুলনায় সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে গাড়ির মালিকদের ঝোঁক এখন সিএনজি এবং এলপিজিতে।

এ বিষয়ে রাজধানীর মিরপুর সিরামিক সিএনজি ও এলপিজি ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার আমির হোসেন বলেন, বাস, ট্রাক ও মোটরসাইকেল ছাড়া প্রায় ৯০ শতাংশ গাড়িতেই জ্বালানি তেলের পাশাপাশি সিএনজি ও এলপিজি কনভারসন (রূপান্তর) করা আছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় অনেকেই এখন সিএনজি ও এলপিজি ব্যবহার করতে শুরু করেছে, যে কারণে পেট্রোল ও অকটেনের বিক্রি কিছুটা কমছে।

মিরপুর কালশী এলাকায় সুমাত্রা ফিলিং স্টেশনে ডিজেল ও অকটেনের পাশাপাশি এলপিজি বিক্রি করা হয়। এ ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার আমির মোহাম্মদ বলেন, দাম বাড়ার পর থেকে অকটেন ও ডিজেল বিক্রি আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। তবে সিএনজি ও এলপিজির ব্যবহার কিছুটা বেড়েছে।   

বিপিসির উপ-মহাব্যবস্থাপক (বন্টন ও বিপণন) মুহাম্মদ মোরশেদ হোসাইন আজাদ জ্বালানি তেলের বাম বাড়ার ফলে বিক্রি কিছুটা কমেছে বলে বাংলানিউজকে জানান। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়বে জেনে অনেকের মজুদ করার একটা প্রবণতা ছিল। দাম বেড়ে যাওয়ার পর, তাদের আগের জ্বালানি তেলের মজুদ শেষ হলে প্রকৃত চিত্র বোঝা যাবে। তাদের মজুদ শেষ হলে আগের চাহিদাই বিরাজ করবে। তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবহার কমেছে বিষয়টা তেমন নয়।   

বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভারসন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নুর এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, সিএনজির ব্যবহার এখন সামান্য বেড়েছে। যারা গাড়িতে ডুয়েল-ফুয়েল ব্যবহার করে, তারা দাম বাড়ার ফলে তেলের ব্যবহার কিছুটা কমিয়ে গ্যাসের ব্যবহার বাড়িয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
আরকেআর/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।