ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

এইচএসসির ফল, সিলেট বোর্ডে পাস ৮১.৪০ শতাংশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩
এইচএসসির ফল, সিলেট বোর্ডে পাস ৮১.৪০ শতাংশ

সিলেট: উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এ বছর পাসের হার ৮১ দশমিক ৪০ শতাংশ।  

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল প্রকাশ করছেন সচিব মো. কবীর আহমদ।

 

এ বছর ৬৭ হাজার ৫৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৬ হাজর ৪৯১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৫৪ হাজার ১২২ জন। পাসকৃত পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২২ হাজার ৮৭৮ জন ছেলে ও ৩১ হাজার ২৪৪ জন মেয়ে। ছেলেদের পাশের হার ৭৯ দশমিক ৮০ এবং মেয়েদের পাসের হার ৮৩ দশমিক ৬১ শতাংশ।  

বিজ্ঞান বিভাগে ১২ হাজার ২৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২ হাজার ১৩৩ জন অংশগ্রহণ করে দশ হাজার ৯৮০ জন পাস করেছে। বিজ্ঞানে পাশের হার ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশ।  

মানবিক বিভাগে ৪৫ হাজর ৪৩৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৪ হাজার ৬৫১ জন অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৩৫ হাজার ৩৫৪ জন। মানবিকে পাশের হার ৭৯ দশমিক১৮ শতাংশ।  

এছাড়া ব্যবসা শিক্ষায় ৯ হাজার ৮৬১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশগ্রহণ করে ৯৭৭ জন। এর মধ্যে পাশ করেছে ৭ হাজার ৭৮৮ জন। মানবিকে পাশের হার ৮০ দশমিক ২৩ শতাংশ।  

এবার সিলেট শিক্ষা বোর্ডে ৪৭৭১ জন শিক্ষার্থী  জিপিএ-৫ পেয়েছেন।  জিপিএ পাঁচ প্রাপ্ত ছেলেদের সংখ্যা ২ হাজর ১৮২ এবং মেয়েদের মধ্যে  ২ হাজার ৬৮৯ জন।  

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ পাস পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৩৩ জন। তন্মধ্যে ছেলে ১ হাজার ৬৯৮ এবং মেয়ে ১ হাজার ৬৩৫ জন। মানবিক জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১ হাজার ২৬ জনের মধ্যে ২৬০ জন ছেলে ও ৭৬৪ জন মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।  

এছাড়া ব্যবসা শিক্ষার ৫১২ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তন্মধ্যে ২২৪ জন ছেলে ও ২৮৮ জন মেয়ে।  

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণচন্দ্র পাল বলেন,  সিলেট বোর্ডে পাস করেনি এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নাই।  আর শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১১ টি।  গত বছরগুলোও তুলনায় এবার ইংরেজিতে ফলাফল একটু ভালো হয়েছে। এর পেছনে অভিভাবকদের সচেতনতাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তিনি। তবে অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় এবারো ইংরেজিতে পাসে পিছিয়ে সিলেট। এজন্য অবশ্য সিলেটে অকাল বন্যা পরিস্থিতির বিষয়টি সামনে তুলে ধরেন তিনি।  

তিনি বলেন, ভয়াবহ বন্যায় শিক্ষার্থীদের অনেকে বই খুইয়েছেন। আমরা বইয়ের বিষয়টি ফিলাপ করতে পারলেও তার আনুষাঙ্গিক যেমন নোট খাতা ও অন্যান্য উপকরণ খুইয়েছেন।  যে কারণেই শিক্ষার্থীদের পরিক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটে। তবে ফলাফল ৫৭ দিনের মধ্যেই আমরা দিতে পেরেছি। আর ভাষার মাসে ফলাফল দিতে পেরে আমরা গর্বিত।  


বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৩
এনইউ/এসআইএস
 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।