ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

হলে রেইড দেওয়ায় ছাত্রলীগের লাঞ্ছনার শিকার প্রভোস্ট, কার্যালয় ভাঙচুর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
হলে রেইড দেওয়ায় ছাত্রলীগের লাঞ্ছনার শিকার প্রভোস্ট, কার্যালয় ভাঙচুর

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল জলিল পাঠানকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরূদ্ধে।  

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মূলত ছাত্রলীগকে না জানিয়ে হল প্রশাসন হলে রেইড দেওয়ায় এ কাণ্ড ঘটিয়েছে।

পাশাপাশি ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রভোস্টের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে।  

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গত সোমবার প্রভোস্ট হলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। এতে আবাসিকতা করার বিষয়টি ওঠে। পরের দিন মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের তথ্য নিতে হলের রুমগুলো পরিদর্শনে যান হলের প্রভোস্ট, হাউজ টিউটর ও কর্মকর্তারা।  

এ সময় হল প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন কথা বলেন ছাত্রলীগ কর্মীরা। এছাড়া ফোন করেও ছাত্রলীগ কর্মীরা অসদাচরণ করেছেন বলে জানা গেছে। ছাত্রলীগ কর্মীদের হল প্রশাসনকে ব্যঙ্গ করে বিভিন্ন স্লোগানও দিতে দেখা যায়।

পরে হল থেকে নিচে নামলে প্রভোস্টের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের বাগ-বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এ সময় প্রভোস্টের কার্যালয় ভাঙচুর করে তারা। সরেমজিনে প্রভোস্টের কার্যালয়ের জানালার কাঁচ ভাঙা পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে হল থেকে প্রভোস্ট চলে যান।

তথ্য সংগ্রহকালে হলের প্রভোস্ট অব্দুল জলিল পাঠান, হাউজ টিউটর প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস, হলের উপ-রেজিস্ট্রার তারিক উদ্দীন আহমেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

হল সূত্রে জানা যায়, হলের মোট সিট সংখ্যা ৩৯৬টি। এর মধ্যে ৮০ সিটের মতো আবাসিকতা প্রাপ্ত। বাকি সবাই অনাবাসিক।  

ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে ছাত্রলীগ কর্মীরা বলেন, পূর্ব নির্দেশনা ছাড়াই হলে রেড দিয়েছে। হঠাৎ রেইড দেওয়ায় অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এ জন্য শিক্ষার্থীরা হল থেকে নিচে নেমে ক্ষুদ্ধ হয়ে এমনটি করেছে।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা সবসময় হল প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। গতকাল যে ঘটনাটি ঘটেছে এ সম্পর্কে জানা নেই। আমাদেরকে অফিসিয়ালি কেউ কিছু জানায়নি। '

এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট আব্দুল জলিল পাঠান বলেন, 'গতকাল আবাসিক ও অনাবাসিক ছাত্রদের ডাটাবেজ নিতে যেয়ে আমাকে লাঞ্ছিত করেছে। আমার কার্যলয় ভাঙচুর করেছে। অন্যায্য, অনৈতিক ও অছাত্র সুলভ আচরণ করেছে ছাত্রলীগ। তবে সাধারণ ছাত্রদের সহযোগিতা পেয়েছি। '

প্রভোস্ট আরও বলেন, 'গত ১০ বছরে শিক্ষার্থীদের কোনো ডাটাবেজ নেই। জিয়া হল যেন একটা আবর্জনায় পরিণত হয়েছে। আমি যে কয়দিন আছি নিয়মের মধ্য থেকে কাজ করব। কোনো অন্যায় মেনে নেওয়া হবে না। '

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।