ঢাকা: সরকার অনুমোদিত ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের (শোকজ) জবাব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ইউজিসির দেওয়া শোকজে বলা হয়েছিলো, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ‘বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার পরিচালনা বিধিমালা, ২০১৪-এর বিধি ৪(১), ৪ (৬), ৭(৫) ও (ঞ), ১১(১) (গ), ১২(২) এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ধারা এবং উপধারাগুলোর ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ক্যাম্পাস কর্তৃক ব্যত্যয় ঘটেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত জবাব গত ৯ মে ইউজিসিতে জমা দেওয়া হয়। শোকজের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এবং বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার পরিচালনা বিধিমালা-২০১৪ অনুসারে প্রধানমন্ত্রী ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির শাখা ক্যাম্পাস বাংলাদেশে পরিচালনার সাময়িক অনুমতি দেন। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৭ বছরের জন্য ক্যাম্পাসটিকে সাময়িক অনুমতি দেয়। এরপর ইউজিসি প্রস্তাবিত ক্যাম্পাস সরেজমিন পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট হয়ে এ বছরের ৩০ মার্চ তাদের প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এরপরই আমরা ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছি।
শোকজের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়টি বলছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ (প্রযোজ্য ধারা ৫০, ধারা ৩ ও ৩৯) এবং বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার পরিচালনা বিধিমালা-২০১৪ এর নির্দেশনায় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাসের শিক্ষাকার্যক্রম (প্রোগ্রাম বা কোর্স) কমিশন কর্তৃক পূর্ব অনুমোদনের বিষয়টি উল্লেখ নাই। এক্ষেত্রে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় আইন বা বিধির ব্যত্যয় ঘটেনি বলে আমরা মনে করছি।
তাতে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ১২ ডিসেম্বর এক স্মারকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রণালয় বিধি ৫(৪) ও ৫(৫) অনুসারে সাত বছরের জন্য বাংলাদেশ ক্যাম্পাস পরিচালনার সাময়িক অনুমতি দিয়েছে। এই মেয়াদকাল শেষ হবে ২০২৯ সালের ১১ ডিসেম্বর। যা শেষ হওয়ার ৬ মাস আগে বিধি ১২ ও ৭-মোতাবেক নির্ধারিত ফি ও প্রয়োজনীয় তথ্যউপাত্ত জমা দিয়ে সনদপত্রের জন্য আবেদন করা হবে। এক্ষেত্রেও বিধি ১২ নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটেনি।
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ বলছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাময়িক অনুমোদনপত্রের শর্তানুসারে আমরা কমিশনের নির্ধারিত ফরমে একটি বোর্ড অব ট্রস্টিজের প্রস্তাব করেছি। অদ্যবদি উল্লেখিত বিষয়ে ইউজিসি হতে কোনো মতামত পাইনি। মতামত বা প্রস্তাব পেলে যথাযথ ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে বিধি বা আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।
এ ব্যাপারে ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান সাংবাদিকদের বলেন, শোকজের জবাব পেয়েছি। এখন কমিশন এই জবাবটি পর্যালোচনা করে একটি সার-সংক্ষেপ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। এরপর মন্ত্রণালয়ই পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে।
তিনি বলেন, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ- এর অনুমোদনসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আমাদের কোনো প্রশ্ন নেই। তবে যে কোনো কোর্স চালুর আগে ইউজিসির কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়াটা জরুরি। নয়তো তাদের কোর্স কারিকুলাম, শিক্ষকের মান, শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা জানার কোনো সুযোগ থাকবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
এমআইএইচ/এসএ