ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

দীর্ঘদিন ধরে অচল জাবির পদ্ম ফোয়ারা

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৮ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৩
দীর্ঘদিন ধরে অচল জাবির পদ্ম ফোয়ারা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী মোড়ের পুকুরের মাঝখানে দৃষ্টিনন্দন লাইটিংয়ে সাজানো কংক্রিটের তৈরি পদ্ম ফোয়ারা এক সময় মুগ্ধ করত দর্শনার্থীদের। তবে সংরক্ষণের অভাবে সৌন্দর্য হারিয়েছে এই পদ্মপুকুর।

দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে পদ্ম ফোয়ারা। সংস্কারে নেওয়া হয়নি প্রশাসনিক কোনো পদক্ষেপ।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুকুরের চারদিকে ঘন জঙ্গলে ভরে গেছে। পানির স্বচ্ছতা নেই বললেই চলে। পানিতে প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট ভাসতে দেখা যায়। পুকুরের মাঝখানে পদ্ম ফোয়ারাটি অচল অবস্থায় পড়ে আছে। ফোয়ারাটির চারিদিকে ফুটে আছে পদ্ম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৩ সালে ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো পুনঃখননে ‘কাজের বিনিময়ে খাদ্য’ কর্মসূচি গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। এ সময় ৯৪৫ টন উন্নত মানের গম বরাদ্দ পায় বিশ্ববিদ্যালয়। বরাদ্দকৃত এই গম দিয়েই ‘কাজের বিনিময়ে খাদ্য’ কর্মসূচির আওতায় সাতটি লেক পুনঃখনন করা হয়।

সেই সময় ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৩৩৫ টাকা ব্যয়ে ত্রিভুজ আকৃতির পদ্মপুকুরটি খনন করা হয়।
খনন শেষে গাজীপুরের কালীগঞ্জ থেকে ৩০টি পদ্ম এনে পুকুরে লাগানো হয়। ৩০টির মধ্যে গোলাপী পদ্মের ৫টি গাছ বরিশাল থেকে এনেছিলেন পদ্ম ফোয়ারার ভাস্কর হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহদী আর বাকি ২৫টি গাছ গাজীপুরের কালীগঞ্জ থেকে এনেছিলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার (এস্টেট)মো. আজীম উদ্দিন। এরপর পুকুরটির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ঠিক মাঝখানে প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় পদ্ম ফোয়ারা।

ডেপুটি রেজিস্ট্রার (এস্টেট) মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, গুরুত্ব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যমণ্ডিত পুকুরের সংরক্ষণ করা উচিত। পুকুরে পদ্মফুলের গাছগুলো আছে। পদ্মফুলের কোনো সমস্যা হয়নি। তবে ফোয়ারাটি সংস্কার করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দৃষ্টিনন্দন পদ্মপুকুরটি সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ফরিদ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, এই পুকুরটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর স্থাপনাগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠতে পারতো। তবে এখন এটির অবস্থা এখন বেশ খারাপ। প্রশাসন চাইলে পদ্ম ফোয়ারাটি সংস্কার করা সম্ভব। পদ্মপুকুরের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের সামান্য সদিচ্ছাই যথেষ্ট।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চুক্তিভিত্তিক) রহিমা কানিজ বাংলানিউজকে বলেন, পদ্ম ফোয়ারাটি সংস্কারের জন্য পূর্বে আলোচনা হয়েছিল। তবে নানা জটিলতায় ফোয়ারাটির সংস্কার কাজ শুরু করা যায়নি। তবে দ্রুত ফোয়ারাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।