জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): আলবেরুনী হলের গণরুমে ঢুকে ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের রাতভর র্যাগ দিয়েছেন একই হলের ৫০ ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী। সোমবার (২২ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হলের অভ্যন্তরে ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক ভুক্তভোগী। তিনি আইন ও বিচার বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্তরা হলেন- বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী সাকিব, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের এনাম, অ্যাকাউন্টটিং বিভাগের আশিক। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও আলবেরুনী হলের আবাসিক ছাত্র। তবে তাদের সাথে নাম না জানা আরও কয়েকজন ছিলেন বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, গত সোমবার (২২ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে একই হলের ৫০তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী গণরুমে আসেন। তারা সেখানকার সব শিক্ষার্থীকে বাবা-মা তুলে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করেন। এরপর তাদেরকে মুরগি (একটি বিশেষ ভঙ্গিতে বসানো) বানিয়ে বসিয়ে রাখেন। এসময় একজন শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে মেঝে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর উচ্চরক্তচাপ জনিত কারণে আরেকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লেও তারা থেমে থাকেনি। এরপর নবীন শিক্ষার্থীদেরকে দিয়ে অত্যন্ত নোংরা ও বিকৃত ভঙ্গির আচরণ করান তারা। ভোর ৪টায় সিনিয়ররা গণরুম ছেড়ে যান।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার রুমের অন্যান্য সদস্যরা নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কায় আছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আশিকের নম্বরে কল দেওয়া হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি কল কেটে দেন। এনামের নম্বরে একাধিকবার কল করা হয়। কিন্তু তিনি রিসিভ করেননি।
আলবেরুনী হল প্রভোস্ট সিকদার মো. জুলকারনাইন অভিযোগ সম্পর্কে জেনেছেন। তিনি জানান, জরুরি মিটিং ডেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সত্যতার ভিত্তিতে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের আওতায় দোষীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করবো।
অভিযোগপত্রের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগপত্রটি পেয়েছি। যেহেতু এটা হলের বিষয়; সুতারং হল প্রভোস্টকে বিষয়টি জানাবো। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
এমজে