ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত রাবি, কোটায় ভর্তি হবেন ৫৩৭ শিক্ষার্থী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩
ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত রাবি, কোটায় ভর্তি হবেন ৫৩৭ শিক্ষার্থী সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন রাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।

রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের পরীক্ষা গ্রহণের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে এবার বিশেষ কোটার জন্য ৫৩৭টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

 

ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে শনিবার (২৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় রাবির শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।  

এ সংবাদ সম্মেলনে রাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান।  

যদিও এবার ভর্তি পরীক্ষায় কোটা বাদে আসন আছে তিন হাজার ৯৩০টি। অর্থাৎ কেবল কোটাতেই ভর্তির জন্য মোট আসনের প্রায় ১২ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।  

রাবির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য আসন রয়েছে ৬১টি, (প্রতিটি বিভগ থেকে ২টির বেশি নয়), শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য ১২২টি (প্রতিটি বিভাগ থেকে দুটির বেশি নয়), মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি/নাতনিদের জন্য প্রতি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের আসন সংখ্যা পাঁচ শতাংশ।  

এছাড়া রাবিতে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সন্তানদের জন্য প্রতি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের আসন সংখ্যা চার শতাংশ এবং বিকেএসপি কোটায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিভাগে নির্ধারিত আসন সংখ্যা ১০ শতাংশ। তবে বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে, ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বরের চেয়ে কম পেয়েও কোটায় ভর্তি হয়েছে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ১৯ নম্বর পেয়েও ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন এক শিক্ষার্থী। সে সঙ্গে বিশেষ বিবেচনায় পোষ্য কোটায় দুইজন ছাড়াও খেলোয়াড় কোটায় তিনজনসহ মোট পাঁচ ভর্তিচ্ছুকে রাবিতে পড়ার সুযোগ দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  

এর আগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ফেল করেও ৭১ জন ভর্তির সুযোগ পেয়েছিল। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ফেল করেও পোষ্য কোটায় ৪৩ জন ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, নির্ধারিত পাস নম্বর ছাড়া কেউ ভর্তি হতে পারবে না। গত বছরের তুলনায় এবার পোষ্য কোটা এক শতাংশ কমিয়ে আনা হয়েছে। গত শিক্ষাবর্ষে কোটায় আসন পূরণ না হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষার মূল কমিটি ও উপকমিটির বিশেষ সুপারিশে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছিল। তবে এবার সেই সুযোগ নেই। পাস করলেই ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে রাবি উপাচার্য জানান, ২৯ থেকে ৩১ মে প্রথম বর্ষ  স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তি-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম বর্ষের ভর্তি-পরীক্ষা ও এতদসংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করে আসছে।  

ভর্তি-পরীক্ষায় অংশগ্রহণে এবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় দুই লাখ পরীক্ষার্থী রাবিতে আসছে। অতীতের মতো সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে ভর্তি-পরীক্ষা শেষ করতে চাই। ভর্তি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কথা বিবেচনা করে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষা ‘এ’ , ‘বি’ ও ‘সি’ এই তিনটি ইউনিটের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। ‘এ’ ইউনিটে কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদভুক্ত ২৭টি বিভাগসহ শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট অন্তর্ভুক্ত আছে।  

‘বি’ ইউনিটে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত ছয়টি বিভাগ ও ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট এবং ‘সি’ ইউনিটে বিজ্ঞান, কৃষি, প্রকৌশল, জীববিজ্ঞান ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ২৬টি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত আছে।  

এবারে এক ঘণ্টাব্যাপী ভর্তি পরীক্ষা এমসিকিউ পদ্ধতিতে নেওয়া হবে। পরীক্ষা চলাকালে কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কক্ষের বাইরে যেতে পারবেন না। পরীক্ষার হলে মোবাইলফোন ও ক্যালকুলেটরসহ মেমোরিযুক্ত অন্য কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখা যাবে না। পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে পরীক্ষা ভবনের গেট ও ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষের প্রবেশগেট খুলে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।