ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর গেস্টরুমে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে উত্তপ্ত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশন।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ মোটেই বিরাজ করছে না। সরকারি দলের ছাত্রসংগঠনের একচ্ছত্র আধিপত্য হলগুলোতে। আমরা ঢাবির বিশেষ মর্যাদা চাচ্ছি কিন্তু এখানে সব দল -মতের সহাবস্থান নেই। সে কারণে হলগুলোতে গেস্টরুম কালচারের নামে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা হয়।
সিনেট সদস্য অধ্যাপক আব্দুর রহিম পয়েন্ট অব অর্ডারে বলেন, আমি একটি হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছি। আমি বিষয়গুলো জানি। কোনো ছাত্র এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ করেনি। অছাত্র, ক্রিমিনালদের (ক্যাম্পাসে) আসতে পারার কথা নয়। তারা যখন আসতে চেয়েছিল, সহকারী প্রক্টর থাকাকালে আমি তাদেরকে আপনার সঙ্গে দেখা করিয়েছি। এখানে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে।
এরপরে আইইআরের অধ্যাপক অহিদুজ্জামান বলেন, গেস্টরুম কালচারের নামে শিক্ষার্থী নির্যাতনের মতো আপত্তিকর রাজনৈতিক বক্তব্য এখানে দেওয়া ঠিক নয়। আমি এটি এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানাচ্ছি।
তখন সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম শব্দটি প্রত্যাহার দাবি করায় এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে গেস্টরুম নির্যাতনের বিষয়টি সংবাদপত্রেও এসেছে বলে জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে এটা ঠিক নয়। আমরা এ ধরনের শব্দের সঙ্গে পরিচিত নই। গেস্টরুমে গেস্টরা আসেন, শিক্ষার্থীরা বসেন। আমাদের অধ্যাপকরা ক্যাম্পাসের বিষয়গুলো জানেন। ফলে পত্রিকার রেফারেন্স দেওয়ার কারণ নেই।
এ সময় উপাচার্য ‘গেস্টরুম নির্যাতন’ শব্দটি প্রত্যাহার করেন।
তখন অধ্যাপক লুৎফর রহমান বক্তব্য প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ওয়াকআউট করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
এসকেবি/এসআইএস