ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

ছাত্রকে নির্যাতন ও টিসি দেওয়ার ঘটনায় দুই শিক্ষকের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা  

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
ছাত্রকে নির্যাতন ও টিসি দেওয়ার ঘটনায় দুই শিক্ষকের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা  

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে এক স্কুলছাত্রকে নির্যাতনের পর টিসি (ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) দেওয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা করেছেন শিশুটির বাবা আহসানউল্লা।  

আদালতের বিচারক তারেক আজিজ মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

 

অভিযুক্তরা কমলনগরের চর লরেন্স উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলন ও সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম।

আরও পড়ুন: ছাত্রকে নির্যাতনের পর টিসিও দিলেন প্রধান শিক্ষক!

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকালে বাদীর আইনজীবী হুমায়ুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি জানান, সোমবার (১০ জুলাই) ছাত্রের বাবা আহসানউল্লা বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চল কমলনগর আদালতে এ মামলা করেন।
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে আদালতের আদেশ এখনো আমরা হাতে পাইনি। আদেশ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

গত পহেলা জুন সকালে ইয়াছিন আরাফাত সজল নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ঢেকে মারধর করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলন ও সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম। এ ঘটনায় ওই ছাত্রের বাবা আহসানউল্লা বিচার চেয়ে শিক্ষকদের নামে থানায় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। প্রতিকার না পেয়ে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন।  

আহসানউল্লার অভিযোগ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলনের ভাতিজার জন্য তার মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছেলেকে মারধর করে বিদ্যালয় ত্যাগের ছাড়পত্র (টিসি) দেওয়া হয়েছে।  

এ ঘটনার পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলন জানিয়েছেন, ওই ছাত্র বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেছে। এজন্য তাকে শাসন করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।