বগুড়া: বগুড়ায় ব্যবহারিক নম্বর না পাঠানোর কারণে কাহালু সরকারি মডেল স্কুলের ফেল করা ২৩ শিক্ষার্থীই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে পাস করেছে।
তাদের মধ্যে ১৮ জন সব বিষয়ে পাস করায় তাদের ফলের পরিবর্তন হয়েছে এবং বাকি ৫ জন অন্য বিষয়ে ফেল করায় তাদের পূর্ণাঙ্গ ফল আসেনি।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বিকেলে কাহালু সরকারি মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক এফ.এম.এ ছালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার (২৮ জুলাই) এসএসসি পরীক্ষার ফলে দেখা যায়, কাহালু সরকারি মডেল স্কুলের মোট ১০৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বাণিজ্য বিভাগের ২৩ জন শিক্ষার্থী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ফেল করেছে। এ বিষয়ে শনিবার (২৯ জুলাই) অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন কেন্দ্র কাহালু তাহেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ওই ২৩ শিক্ষার্থীর ব্যবহারিক নম্বর পাঠানো হয়নি।
পরে কেন্দ্র সচিব ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বেলাল উদ্দিন সমস্যা সমাধানে রোববার (৩০ জুলাই) রাজশাহী বোর্ডে যান। পরে মঙ্গলবার আইসিটি বিষয়ে নতুন করে ফলাফল প্রকাশ হলে ২৩ জন শিক্ষার্থীই পাস করেছে বলে জানানো হয়।
তাহেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল উদ্দিন বলেন, অনলাইনে ব্যবহারিক নম্বর এন্ট্রি করার সময় সামান্য ত্রুটি হয়েছিল। পরবর্তীতে তার সমাধান আমরা করেছি। এখানে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র ছিল না। আমরা খুব দ্রুত সময়ে সঠিক ফল আনতে সফল হয়েছি।
কাহালু সরকারি মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক এফ এম এ ছালাম বলেন, তাহেরুন্নেছার প্রধান শিক্ষকের ভুলের কারণে ২৩ শিক্ষার্থীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ফেল এসেছিল। পরে তাদের ব্যবহারিক নম্বর যুক্ত করার পর আজ তারা সবাই পাস করেছে।
ফলাফলে ২৩ জন ছাত্রের মধ্যে ১৮ জন সব বিষয়ে পাস করেছে। আইসিটি বিষয়ে ২৩ শিক্ষার্থীই এ প্লাস পেয়েছে। তবে এদের মধ্যে পাঁচ জন অন্য বিষয়ে ফেল করার কারণে তারা অকৃতকার্য হয়েছে। কৃতকার্যদের মধ্যে এক জন জিপিএ-৫, পাঁচ জন এ গ্রেড ও বাকিরা এ মাইনাস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী জানান, আইসিটি বিষয়ে নতুন করে ফলাফল প্রকাশ হলে ওই শিক্ষার্থীরা পাশ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২৩
কেইউএ/এসএম