ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষকের কাছ থেকে পরীক্ষার উত্তরপত্র নিয়ে পালালেন যুবক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৩
শিক্ষকের কাছ থেকে পরীক্ষার উত্তরপত্র নিয়ে পালালেন যুবক

লক্ষ্মীপুর: জেলার রায়পুরে প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি শিক্ষক ইমাম হোসেন গাজীর কাছ থেকে স্কুল শাখার কয়েকটি শ্রেণির পরীক্ষার উত্তরপত্র নিয়ে পালিয়ে যান এক যুবক।  

বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে রায়পুর উপজেলার উত্তর রায়পুর মানিক আমিনের ঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

ঘটনার কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলের অদূরে রাস্তার ওপর থেকে উত্তরপত্রগুলো উদ্ধার করেন ওই শিক্ষক নিজেই।

এদিন সন্ধ্যা ৫টার দিকে শিক্ষক ইমাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের ৬৩টি উত্তরপত্র ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

ইমাম হোসেন প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার ইংরেজি শিক্ষক।

তিনি জানান, পরীক্ষা শেষে তিনি উত্তরপত্রগুলো নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাসায় যাচ্ছিলেন। এসময় এক যুবক তার কাছে সামনে যাওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে ওঠেন। কিছুক্ষণ পর ওই যুবক তার মোটরসাইকেলটি নিয়ে যাওয়ার জন্য টানা-হেঁচড়া শুরু করেন। একপর্যায়ে টাকাপয়সাও দাবি করে। পরে স্থানীয় লোকজনকে আসতে দেখে তার সঙ্গে থাকা উত্তরপত্রগুলো ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক। পরে উত্তরপত্রগুলো ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে রাস্তার ওপর থেকে উদ্ধার করা হয়। উত্তরপত্রগুলো ওই যুবক রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়।

ইমাম হোসেন গাজী বলেন, ছেলেটিকে দেখলে চিনব। তবে তার নাম জানা নেই। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- ছেলেটির বাবার নাম মান্নান খাঁ। তবে ছেলেটির নাম জানা যায়নি। ছেলেটির মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে জানতে পেরেছি।  

প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরুল আমিন বলেন, ঘটনাটি শিক্ষক ইমাম আমাকে জানিয়েছেন। আমি তাকে থানায় জিডি করতে বলেছি।  

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগ করেনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।