ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

দিনাজপুরে কমেছে পাশের হার, ১৬ কলেজে পাস করেনি কেউ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৩
দিনাজপুরে কমেছে পাশের হার, ১৬ কলেজে পাস করেনি কেউ

দিনাজপুর: দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৬টি কলেজের সব শিক্ষার্থীই অকৃতকার্য হয়েছে। এই ১৬ প্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৬ জন।

রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর সাজ্জাদ আলী এ তথ্য জানান।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এই শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রংপুর বিভাগের আটটি জেলার ৬৭১টি কলেজের মোট এক লাখ ১২ হাজার ২৬৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৮২ হাজার ৫৭৯ জন। এই বোর্ডে পাশের হার ৭৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ৬৭১টি কলেজের মধ্যে ১৬টি কলেজের কেউই পাশ করতে পারেনি। এইচএসসি পরীক্ষায় ১৬টি কলেজের মোট ৪৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।  

কলেজগুলো হলো- কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলার মোহানগঞ্জ আদর্শ কলেজের ১১ জন, একই জেলার উলিপুর উপজেলার বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল ও কলেজের চারজন, রৌমারি উপজেলার দাঁতভাঙ্গা মডেল কলেজের একজন, নাগেশ্বরী উপজেলার সমাজকল্যাণ মহিলা কলেজের একজন ও ভুরুঙ্গামারি উপজেলার মেইডাম কলেজের একজন, লালমনিহাট জেলার আদিতমারি উপজেলার বেহলাবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাঁচজন, একই জেলার আদিতমারি উপজেলার কুমরিরহাট এসসি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুইজন, কালিগঞ্জ উপজেলার দুহুলি এসসি হাই স্কুল ও কলেজের এক জন, দক্ষিণ ঘানাসিয়াম স্কুল ও কলেজের একজন, দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার বেপারিতলা আদর্শ কলেজের পাঁচজন ও ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর লক্ষিপুর হাই স্কুল ও কলেজের একজন, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মোড়লহাট জনতা স্কুল ও কলেজের পাঁচজন, সদর উপজেলার কদমরাসুল হাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের চারজন ও পীরগঞ্জ উপজেলার পীরগঞ্জ আদর্শ কলেজের একজন, গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ফকিরহাট মহিলা কলেজের দুইজন, নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গলমুন্ডা আদর্শ কলেজের একজন।  
১৬টি কলেজের ফলাফল শূন্যের বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর সাজ্জাদ আলী বলেন, “অকৃতকার্য হওয়া কলেজগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ”


এইচএসসি পরীক্ষার প্রাপ্ত ফলাফলে বিভাগের ৮টি জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে রংপুর জেলা। এই জেলার পাশের হার ৮২.৫২ শতাংশ আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭২১ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নীলফামারী জেলা। এই জেলার পাশের হার ৭৬.২৯ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৫৫ জন। তৃতীয় অবস্থানে থাকা গাইবান্ধা জেলার পাশের হার ৭৫.৪১ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭২১ জন। ৭৩.৫৮ শতাংশ পাশের হার ও ২১৮ জন জিপিএ-৫ পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে লালমনিরহাট জেলা। নিজ এলাকায় হয়েও ফলাফলে পঞ্চম হয়েছে দিনাজপুর জেলা। এই জেলায় পাশের হার ৭২.৩৩ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৩০ জন। ষষ্ট অবস্থানে ঠাকুরগাঁও জেলার পাশের হার ৭১.৬৫ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৫৭ জন। কুড়িগ্রাম জেলার অবস্থান সপ্তমে। এই জেলার পাশের হার ৬৭.৯৭ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩৩ জন। সর্বশেষ অবস্থান বা অষ্টম স্থানে থাকা পঞ্চগড় জেলার পাশের হার ৬৪.৯৯ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৪ জন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।