দিনাজপুর: আবারও দিনাজপুরের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে।
রোববার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন দিনাজপুরের তাপমাত্রা ছিল ৮ ডিগ্রি।
এদিকে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নামলে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বেশ কয়েকটি স্কুল খোলা রাখতে দেখা গেছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাপমাত্রার তথ্য নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন তারা।
দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জিলা স্কুলসহ বেশ কয়েকটি স্কুল বন্ধ থাকতে দেখা গেলেও খোলা ছিল ইকবাল উচ্চ বিদ্যালয়। সেখানে দেখা যায়, কেউ কেউ স্কুলে খেলছে। কেউ বা ক্লাস রুমে ক্লাস করছে।
এ ব্যাপারে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানায়, তাপমাত্রা কখন কি হচ্ছে, আমরা সেটা তো আগে জানতে পারি না। ফলে এই শীতের মধ্যে কষ্ট করে আসি। স্কুলে আসার পর শুনেছি আজ তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি। অনেকেই এসেছে ক্লাস করার জন্য। কেউ কেউ ক্লাস করছে, আবার কেউ খেলছে। এভাবে করে আমাদের যাতায়াত খরচ ঠিকই হচ্ছে। যদি সুনির্দিষ্টভাবে স্কুল বন্ধ দিত, তাহলে ভালো হতো। আমরা দ্বিধা দ্বন্দ্বে থাকতাম না।
ইকবাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক খাদেমুল ইসলাম বলেন, তাপমাত্রা কত ডিগ্রি সেলসিয়াস সেটা জানতে জানতে সকাল ৯টা বেজে যাচ্ছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা চলেও আসে। অভিভাবকরাও চিন্তিত থাকেন বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাবেন কি না। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী যেসব এলাকায় তাপমাত্রা কমার বা শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা থাকবে ওইসব এলাকায় সুনির্দিষ্টভাবে স্কুল বন্ধ রাখলে সবার জন্য ভোগান্তি কম হতো।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ আর কিছু প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। আগামী রোববার (২১ জানুয়ারি) পর্যন্ত যদি তাপমাত্রা কমতে থাকে তাহলে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেব।
বাংলাদেশ সময়:১৫৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
এসআরএস