ঢাকা: প্রাথমিকের শিক্ষকদের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, বিসিএসে যে রকম প্রশ্ন থাকে, আমাদের প্রশ্নপত্র কিন্তু ওই রকম লেভেলের থাকে। বেতনের কারণে তাদের মেধাটা এখানে কাজে লাগাতে চায় না এবং পরে চলে যায়।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে ‘টেকসই শান্তির জন্য শিক্ষা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চলনা ও সূচনা বক্তব্য দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী। সম্মানিত বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের মান নিয়ে কিন্তু কোনো প্রশ্ন নাই। বিসিএসে যে রকম প্রশ্ন থাকে আমাদের প্রশ্নপত্র কিন্তু ওই রকম লেভেলেরই থাকে। যেটা সমসা হয়, শিক্ষকরা প্রথমে জয়েন করেন। পরে কিন্তু খালি হয়ে যায়। তারা আসতে চান না। এটাও একটা বিষয় আছে, বেতনের একটা বিষয় থাকে। তারা মেধা ওখানে কাজে লাগাতে চান না। এগুলো অনেক বিষয় কাজ করে। সে ক্ষেত্রে আমরা সামনে হয়তো আরও কাজ করতে পারব।
প্রাথমিক শিক্ষকদের নিম্ন বেতন কাঠামো নিয়ে একজন শিক্ষকের বক্তব্যের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বেতনের বিষয়টা একজন বলেছিলেন, সেজন্য বললাম।
শিক্ষার্থীদের মিড ডে মিল নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিড ডে মিলের কথাটা বার বার আসছে। মিডিয়াতে খিচুড়ির একটা বিষয় ছিল নির্বাচনের আগে। নির্বাচনের আগে অনেক নেগেটিভ কথা বার্তা আসে, অনেক ধরনের অপপ্রচার করে সরকারকে বিতর্কিত করার একটা চেষ্টা করা হয়। এটা ওই রকমই একটা বিষয় ছিল। আসল ঘটনা থেকে দূরে সরে গিয়ে এটা এ রকম করা হয়েছে।
এখন যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে- পুষ্টিমানকে ঠিক রেখে যাতে খাবার নষ্ট না হয়ে যায় এবং বাচ্চারা যাতে পুষ্টিকর খাবার পেতে পারে। ডিম, দুধ, কলা বা মৌসুমী ফল এবং সঙ্গে বিস্কুট ও রুটি। এগুলো পচনশীল নয়। যেটা বাচ্চারা দুপুর পর্যন্ত যখন থাকবে এবং খাবে, তখন যাতে ওটা নষ্ট না হয়ে যায়। এটা অনেক ভালো একটা উদ্যোগ এবং সামনে আরও কাজ হবে, যোগ করেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে তিনি বলেন, সব জায়গায় কিন্তু এক রকম নয়। অনেক জায়গায় দেখা যায় যে বাচ্চা স্কুলে কম, তাদের হয়তো অ্যাসেসমেন্ট করা যায়। ১২-১৩ বা ৩০টা বাচ্চাকে হয়তো করা যায়। যে স্কুলে দেড়শ’ বাচ্চা, সে স্কুলে কিন্তু এটা করা যায় না। সে ক্ষেত্রে পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকাটা কিন্তু খুব জরুরি। আমরা শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছি, আরও দেওয়া হবে।
পানিতে পড়ে শিশু মৃত্যু কমাতে দিবাযত্ন কেন্দ্র বা সাঁতার শেখানোর বিষয়ে তিনি জানান, দিবাযত্ন কেন্দ্র (ডে কেয়ার সেন্টার) যেভাবে আছে, এটা কাজে লেগেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
এমআইএইচ/এসআই