ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’।
বিক্ষোভ-সমাবেশ থেকে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর পদত্যাগের দাবি জানান ঢাবি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ ছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাজকর্মকে কূপমণ্ডূক আখ্যা দেন তারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রত্যয় স্কিম আপাদমস্তক একটি বৈষম্যমূলক স্কিম। আমাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে এবং সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পরিকল্পিতভাবে প্রত্যয় স্কিম করা হয়েছে।
কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মোত্তালিব বলেন, বৈষম্যহীন সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা। যে অধিকার জাতির জনক দিয়ে গেছেন, সেই অধিকার হনন করার অধিকার কারো নেই। আমরা বৈষম্যমূলক প্রত্যয় স্কিম চাই না।
ঢাবির প্রধান প্রকৌশলী আকরাম হোসেন বলেন, চাকরিজীবীদের জন্য আলাদা আলাদা স্কিম করার মাধ্যমে এক দেশে দুই নীতি তৈরি করা হয়েছে। কোনো এক মহল আমাদের সরকারের বিপক্ষে দাঁড়াতে বাধ্য করছে। বিষয়টি সরকারের খুব সূক্ষ্মভাবে খতিয়ে দেখা উচিত।
কর্মকর্তা মঞ্জুর হোসেন বলেন, প্রত্যয় স্কিম কেউ চায় না। তবে কেন আমাদেরকে জোর করে এসব গেলানো হচ্ছে। যারা এমন ন্যক্কারজনক অপকর্ম ঘটিয়েছে, তাদের অবিলম্বে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
ঢাবি কর্মচারী নেতা মনিরুজ্জামান বলেন, অবিলম্বে এ পেনশন নীতি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় কীভাবে অধিকার আদায় করে নিতে হয়, তা আমরা জানি। অর্থমন্ত্রীকে বলতে চাই, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২৪
আরএইচ