খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেছেন, গত ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে অধিকার বঞ্চিত হয়েছি। সেই কথাগুলো কিন্তু আমরা বলতে পারিনি।
তিনি বলেন, যারা অধিকারের কথা বলেছেন, তারা বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যারা বলেছেন, তারা স্বাভাবিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেননি। তাদের পিছিয়ে রাখা হয়েছে। তাদেরকে ওএসডি করে রাখা হয়েছে।
খুলনায় ‘আলবাব একাডেমি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনার এম এ বারি সড়কে ওই একাডেমির প্রাঙ্গণে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়।
রেজাউল করিম আরও বলেন, স্বৈরাচার সরকারের লোকদের কাছে ধর্মীয় চেতনা সহ্য হতো না। তারা অন্য চরিত্রের ছিল। এ কারণে তাদের মসজিদ-মাদরাসায় খুব একটা দেখা যেতো না। আমি মনে করি ধর্মীয় চেতনাবাদ, ধর্মের সাথে থাকা, ইসলাম নিয়ে চিন্তা করা মানুষ অন্যায় করতে পারে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আলবাব একাডেমির কৃতি সন্তান যারা এখান থেকে বের হবে তারা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে বলে আমি আশা করছি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামান ও খুলনা আলিয়া মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ সালেহ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আলবাব একাডেমির চেয়ারম্যান এস এম মফিজুল ইসলাম।
সভাপতি এস এম মফিজুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, খুলনাবাসীর জন্য ভিন্নধারার নতুন কিছু নিয়ে এসেছে আলবাব একাডেমি। ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষার অপূর্ব সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত আলবাব একাডেমি দেশ, জাতি ও উম্মাহকে আগামী দিনের সৎ, যোগ্য ও আদর্শ সুনাগরিক উপহার দেবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আলবাব একাডেমির পরিচালক রোকরুজ্জামান, আসাদুল্লাহিল গালিব, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল রাজি, হিফজ বিভাগের সহকারি শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মুফতি মো. নাসরুল্লাহ, বিশিষ্ট কৃষিবিদ হারুন-অর রশিদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি আইমান আহাদ ও অভিভাবক হাসমত আলী।
এ সময় বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সুধীজনসহ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিরা আলবাব একাডেমির ছাত্র-ছাত্রীদের মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৫
এমআরএম/আরএইচ