ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবিতে ভর্তিচ্ছুদের সহযোগীতায় বিএনসিসি ও স্কাউট

জাবি প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১২
জাবিতে ভর্তিচ্ছুদের সহযোগীতায় বিএনসিসি ও স্কাউট

জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষায় শৃংখলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) জাবি কন্টিনজেন্ট ও জাবি রোভার স্কাউট। বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর জাবি কন্টিজেন্টের মোট ৩০জন ও জাবি রোভার স্কাউট’র ২৫ জন সদস্য নিয়মিত শৃংখলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

এদের মধ্যে ২ জন নারী ক্যাডেটও রয়েছেন।

প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু করে পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরিক্ষা হলের গেটে ভর্তিচ্ছুদের শৃংখলা রক্ষা, প্রবেশপত্র যাচাই ও আসন খুঁজে পেতে সহযোগিতা করছে। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন যে কোন কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্যও তারা কাজ করছে।

শৃংখলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত ক্যাডেট উজ্জল আকন্দ বলেন, আমাদের যে মূলমন্ত্র আছে আমরা সে মুলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা রক্ষার্থে যে কোনো কাজে সহযোগিতা করার সর্বাতক চেষ্টা করি।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) জাবি কন্টিজেন্ট এর ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বাংলানিউজকে বলেন, বিএনসিসি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো অনুষ্ঠানে শৃংখলা রক্ষা করার জন্য তারা সদা প্রস্তুত।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর জাবি কন্টিজেন্ট রমনা রেজিমেন্টের ৩ নং ব্যাটেলিয়ানের আন্ডারে দেশের বিভিন্ন স্থানে সেচ্ছাসেবা কাজ করে যাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট’র সিনিয়র রোভার মেট আফজাল জাহান ইমরান বলেন, আমাদের মূলমন্ত্র হচ্ছে সেবা এবং আমাদের লক্ষ হচ্ছে দেশের প্রতি কর্তব্য পালনের জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকা। আর তাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভর্তি পরিক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহায়তায় জাবি রোভার স্কাউটের  ২৫ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে প্রথম বর্ষ ভর্তি পরিক্ষা শুরু হয়েছে ১৩ অক্টোবর এবং শেষ হবে ২০ অক্টোবর। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদ ও দু’টি ইনস্টিটিউটে মোট আবেদনপত্র জমা পড়েছে ২ লাখ ২০ হাজার ৯২২টি। গতবারের তুলনায় এ বছর প্রায় ৫৩ হাজার বেশি আবেদন জমা পড়েছে। বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে এবার ১৭৯৭জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, খেলোয়াড়, সাংস্কৃতিক, উপজাতি, প্রতিবন্ধী কোটায় জন্য সিট রয়েছে ২২৯টি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘন্টা, ১৭ অক্টোবর, ২০১২
ওয়ালিউল্লাহ/সম্পাদনা: আহ্‌সান কবীর, আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।