ঢাকা: শিক্ষকের মানসম্পন্ন শিক্ষা পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রক্রিয়ায় ৮০ শতাংশ প্রভাবিত করে। ফলে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে শিক্ষককে চিহ্নিত করে বিনিয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এর আয়োজনে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর প্রায়োগিক পরিকল্পনার আগ্রগতি শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে এ মত দেওয়া হয়।
কর্মশালায় প্রতিবেদন উপস্থাপনে শিক্ষাবিদ সিরাজুল হক বলেন, “শিক্ষকদের ব্যক্তিগত, শিক্ষাগত ও পেশাগত গুণাবলীর বিকাশের জন্য বিনিয়োগের ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে। শিক্ষাক্রমের বিষয়বস্তু, জ্ঞান ও অনুধাবনের বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও শিক্ষন-শিখনের উপকরণ ও পদ্ধতি এবং সহায়ক ব্যাবস্থাপনা ও পরিবেশের ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। ”
কর্মশালায় শিক্ষাক্রম কাঠামো সংক্রান্ত একটি জাতীয় নীতিমালা শিক্ষাক্রমকে আরো সুসংহত করবে বলে মত দেওয়া হয়।
শিক্ষানীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং শিক্ষাক্রমের সঙ্গে মিল রেখে মাধ্যমিক পরীক্ষার ভূমিকা ও প্রক্রিয়ার ওপর সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পরামর্শ দানকারী সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে একটি স্বাধীন জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।
করণীয় সর্ম্পকিত এ কর্মশালায় বিদ্যালয় পর্যায়ে মালিকানা ও প্রশাসন বিষয়ে বলা হয়েছে, সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া আরো জোরদার করা প্রয়োজন।
শিখনের গুণগত মান উন্নয়নের জন্যে প্রারম্ভিক মান জানা থাকা প্রয়োজন। প্রতিবেদনে শিক্ষকদের ও বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে মান নির্ণয়ের কথা বলা হয়েছে।
মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও) এর মাধ্যমে স্কুলের বাজেট স্বল্পতা, এডহক মূলধন, পাঠ্যপুস্তক ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ শিক্ষা ব্যাবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। উদ্যোক্তাদের দ্বায়িত্ব, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে স্কুলের তহবিল বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়েছে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, “শিক্ষকদের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে এ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়নে শিক্ষানীতিতে যেসব পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, ধীরে ধীরে সেগুলোরও বাস্তবায়ন চলছে।
মাউশি’র মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমান উর রশিদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- শিক্ষা সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রাথমিক ও গনশিক্ষা সচিব এমএম নিয়াজউদ্দিন এবং এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের পরিচালক (এসএএইচএস) সুংসুপ রা।
বাংলাদেশ সময় ১৪৪৪, নভেম্বর ১৩, ২০১২
এমএন/জেডএম