রাবি: বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) উপাচার্য প্রফেসর ড. সিরাজুল করিম চৌধুরীর পদত্যাগ দাবিতে ক্যাম্পাসে আন্দোলন তীব্র হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে, এ নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে রুয়েট শাখা ছাত্রলীগ ও প্রগতিশীল শিক্ষক-কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য পরিষদ ।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ছাত্রলীগ ও ঐক্য পরিষদের শিক্ষক-কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপাচার্যের অফিসের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন।
সব ভবনে তালা ও ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান ধর্মঘট করেন তারা।
এদিকে, আসন্ন আগামী ১৯ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন উপাচার্য ড. সিরাজুল করিম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, আগামী ১৯ নভেম্বর প্রতিবারের মতোই রুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ইন্টারনেটভিত্তিক ব্লগ ১৭ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এমন ভুল প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উপাচার্য এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ১৯ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, “ভর্তি পরীক্ষার সময় জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবলীলা যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়ে, তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবার সহযোগিতা কামনা করছি। ”
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) উপাচার্য প্রফেসর ড.সিরাজুল করিম চৌধুরীর পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নামছে রুয়েট শাখা ছাত্রলীগ ও প্রগতিশীল শিক্ষক-কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য পরিষদ ।
এবিষয়ে ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ড. এন এইচ এম কামরুজ্জামান সরকার বাংলানিউজকে বলেন, “আমাদের দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চলবে। ”
উপাচার্যের বিরুদ্ধে ঐক্য পরিষদের অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- রুয়েট শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি নির্বাচিত হওয়ায় নির্বাচন বাতিল, জাতীয় স্মারক শহীদ মিনার নির্মাণে ইচ্ছাকৃত বিলম্ব, নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও ‘শেখ হাসিনা হলে’ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি স্থাপনে বিলম্ব, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে জনমত গঠনে অসহযোগিতা, অনুপস্থিতি এবং বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ-চেতনার প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনসহ ছাত্রলীগের ওপর নানারকম একাডেমিক নির্যাতন, ছাত্রদল, শিবিরকে নানা সুবিধা দেওয়া হলেও উপাচার্য ছাত্রলীগকে কোনো সুবিধা দেয় না ।
এদিকে, উপাচার্য তার পদ থেকে সরে না দাঁড়ালে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনে নামা হবে বলে জানান রুয়েট ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হারুন-অর-রশিদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১২
সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর