ঢাকা: রাজনৈতিক বিবেচনা ও নানামুখী তদবিরে আরো সাতটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
নতুন অনুমোদন পাওয়া ইউনিভার্সিটিগুলো হলো- বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস, ১২৫/১ দারুস সালাম, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬; সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি, শ-৩৬/সি, মধ্য বাড্ডা, গুলশান-১, ঢাকা ১২১২; ফেনী ইউনিভার্সিটি, বারাহিপুর, প্লট-১৮৪৫, ট্রাঙ্ক রোড, ফেনী-৩৯০০; নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ১১৮ মজিদ সরণি, সোনাডাঙ্গা, খুলনা; ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাদুয়া বাজার, বিশ্বরোড কুমিল্লা এবং পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ১৩ ও ১৪ নিকুঞ্জ হাউজিং সোসাইটি, দক্ষিণ খুলসি, চট্টগ্রাম।
এছাড়া সিরাজগঞ্জে খাজা ইউনুস আলী ইউনিভার্সিটি নামে রয়েছে আরো একটি বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অধিকাংশই আবেদন করে দুই-তিন বছর ধরে তদবির করে আসছিল। পরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এদের আবেদনের ভিত্তিতে সরেজমিন যাচাই করে সুপারিশ পাঠায় মন্ত্রণালয়ে। শিক্ষামন্ত্রী গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনুমোদন নিয়ে এসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নামের ব্যাপারে গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে।
রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার লিখে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাত পর্যন্ত অফিসে থাকতে। অনেক সাংবাদিক সেখানে ঘোরাঘুরি করছেন নামগুলো পাওয়ার জন্য।
কয়েকদিন আগে এক্সিম ব্যাংককে নতুন একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। নতুন সাতটিসহ মোট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭০টি।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, “সাংবাদিকরা বিকেলের পর যার যার অফিসে ফিরে গেলে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। একটু রাত করে প্রজ্ঞাপন জারির নির্দেশ দিয়েছেন বড় স্যার। কয়েক মাস আগে যখন ৮টির অনুমোদন দিয়েছিলাম তখনও রাতের বেলা প্রজ্ঞাপন জারি করেছিলাম। ”
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে বিএনপি সরকারের শেষ দিকে দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ওই প্রজ্ঞাপনও জারি হয়েছিল রাতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১২
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর/আরআর