ঢাকা: পূর্ব তিমুরের সাবেক রাষ্ট্রপতি যোসে রামোস হোরতার বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, “পূর্ব তিমুরের জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ দেশটির ইতিহাসের সঙ্গে সর্ম্পকিত। ২০০২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের বিপদেআপদে বাংলাদেশ সবসময়ই পাশে থেকেছে।
শান্তিতে নোবেলজয়ী রামোস গত ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এভাবেই বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এমসয় তিনি প্রশংসা করেন, ১৯৯৯ থেকে ২০০২ পর্যন্ত পূর্ব তিমুরে কর্মরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষা মিশনের। এছাড়া, ২০০৬ থেকে বর্তমান পর্যন্ত পূর্ব তিমুরে বাংলাদেশ পুলিশ ইউনিটের(এফপিইউ) কার্যক্রমেরও প্রশংসা করেন।
রামোস জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি আমিরাহ হককেও ধন্যবাদ জানান পূর্ব তিমুরের পুনর্গঠনে সহায়তার জন্য।
সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রফেসর ড.
আলাউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. আতফুল হাই শিবলী।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের পক্ষে ইউল্যাবের উপাচার্য প্রফেসর ইমরান রহমান সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
এ বছর ইউল্যাবের সমাবর্তনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘বি এন্ড বিকাম’।
‘বি’ বলতে বোঝানো হয়েছে শিক্ষার্থীদের বর্তমানকে এবং ‘বিকাম’ এর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে।
সমাবর্তনে সনদ নেন মোট ৭০৪ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৫১৭ জন শিক্ষার্থী ব্যবসা প্রশাসন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিকস এন্ড টেলিকমিউনিকেশনস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইংলিশ অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ এবং মিডিয়া স্টাডিজ এন্ড জার্নালিজম বিষয়ে স্নাতক এবং ১৮৭ জন শিক্ষার্থী এমবিএ ও এক্সিকিউটিভ এমবিএ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য সনদ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১২
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর/আরআর